জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মেনে সিপি, ডিসি (নর্থ) এবং রাজ্যের শীর্ষ দুই স্বাস্থ্যকর্তাকে বদলের সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় নিলেও, আন্দোলনরত ডাক্তাররা তাঁদের অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকলেন। প্রায় 6 ঘন্টার আলোচনা শেষে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাসভবন থেকে স্বাস্থ্য ভবনের ধর্ণা মঞ্চে ফিরে জুনিয়র চিকিৎসকরা জানালেন, তাঁরা আজ কিছু প্রতিশ্রূতি পেয়েছেন। আলোচনায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দিকে এবং আগামিকাল সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার গতিপ্রকৃতি দেখে, তাঁরা পরবর্তী পদক্ষেপের ব্যাপারে ভাববেন। পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের অন্যতম নেতা ডাক্তার অনিকেত মাহাতো বলেন, "আজ মৌখিক আশ্বাস পাওয়া গিয়েছে। রাজ্য সরকার আমাদের দাবি মানতে বাধ্য হয়েছে। তবে নির্দেশ কার্যকর না-হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি এবং অবস্থান আন্দোলন চলবে। আমরা স্বাস্থ্য সচিবেরও বদল চেয়েছিলাম, কিন্তু সেটা মানা হয়নি। আমরা আমাদের দাবিতে অবিচল থাকছি।"
কালীঘাটের বাসভবনে চলা রাজ্য সরকার এবং জুনিয়র চিকিৎসকদের মধ্যে ম্যারাথন আলোচনার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন ডাক্তারদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে বেশিরভাগটাই মেনে নেওয়া হয়েছে, তবে তিনি আন্দোলনরত চিকিৎসকদের বুঝিয়েছেন যে, "পুরো বাড়ি যদি খালি করে দেওয়া হয় তাহলে প্রশাসন চালাবে কে?" তাই কলকাতার পুলিশ কমিশনার, ডিসি নর্থ (উত্তর), রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার বদল করার সিদ্ধান্ত হলেও, রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবের বদল এখনই হচ্ছে না। তবে, জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মেনে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নে এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং জুনিয়র চিকিৎসকদের নিয়ে একটি টাস্ক ফোর্স গঠনের কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।