কলকাতা, 8 অক্টোবর: অ্যাপ্রনের উপর আটকানো কাগজ ৷ তাতে লেখা 'অনশনকারী' ৷ মঙ্গলবার এভাবেই আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদের পাশাপাশি কর্তব্যে সামিল হলেন জুনিয়র ও সিনিয়র চিকিৎসকরা ৷ বার্তা দিলেন, প্রতিবাদের পাশে রয়েছেন তাঁরা ৷ পাশাপাশি কর্তব্যেও খামতি রাখছেন না ৷
মহাপঞ্চমীর দিন শহরজুড়ে পুজোর গন্ধ থাকলেও তার সঙ্গে রয়েছে আরজি করের ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের স্বর । এই দিন থেকেই প্রতীকী অনশনের ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজগুলিতে 12 ঘণ্টার রিলে প্রতীকী অনশন হয়েছে । তবে অনশন থাকলেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। কর্তব্য মেনে পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা ৷ এদিন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে অনশনকারী চিকিৎসকের হাতেই সফল হল প্লাস্টিক সার্জারির অস্ত্রোপচার । তার সঙ্গে ওপিডিতে একাধিক রোগীও দেখলেন অনশনকারী ডাক্তাররা ।
ধর্মতলায় অনশনে রয়েছেন 7 জন জুনিয়র চিকিৎসক। অন্যদিকে, মঙ্গলবার রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে চলছে অনশন। সিনিয়র চিকিৎসকরাও আজ জুনিয়রদের সমর্থনে অনশন করছেন। কিন্তু তারপরেও কেউ নিজেদের কাজ বন্ধ করেননি। এই বিষয়ে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, "আমাদের মধ্যে জুনিয়র ও সিনিয়র মিলিয়ে প্রায় 57 জন চিকিৎসক অনশন করছেন । তার মধ্যে 25 জন চিকিৎসা পরিষেবার কাজে যুক্ত রয়েছেন আজ । কারণ আমরা চিকিৎসক, আমার মানুষের সমস্যা কোনওভাবেই তৈরি করব না ।"
অন্যদিকে, জুনিয়র চিকিৎসকের পাশাপাশি অনশনে সামিল হয়েছেন বহু সাধারণ মানুষও । ধর্মতলায় তাদের যে অবস্থার মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে সেখানে এসে অবস্থানে যোগ দিচ্ছেন তাঁরাও । এর পাশাপাশি উই ওয়ান্ট জাস্টিস লেখা একটি সাদা বোর্ডে গণস্বাক্ষর চলছে সাধারণ মানুষের । এদিন ধর্মতলায় অবস্থান মঞ্চে শামিল হয়ে একজন সাধারণ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে দেখভাল করেন এখানকার অনশনকারী চিকিৎসকরাই ।