কলকাতা, 5 অক্টোবর: কাজে যোগ দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা । পূর্ণ কর্মবিরতি তুলে নিয়ে এবার জরুরি, ওপিডি-সহ সমস্ত পরিষেবায় ফিরে গেলেন তাঁরা । শুক্রবার রাত থেকেই বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে দেখা গিয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে যোগদান করেছেন । শুক্রবার রাতেই অস্ত্রোপচারও করেছেন তাঁরা ।
পাশাপাশি চিকিৎসা পরিষেবায় ফিরে গেলেও ন্যায়বিচারের জন্য তাঁদের আন্দোলন চলছে । প্রত্যেকটি মেডিক্যাল কলেজে রয়েছে তাদের অবস্থান মঞ্চ । অন্যদিকে ধর্মতলার অবস্থান মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷
42 দিন ধরে কর্মবিরতি করেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা । এরপর আংশিক কর্মবিরতি তুলে নিয়ে জরুরি পরিষেবার কাজে যুক্ত হয়েছিলেন তাঁরা । তবে এই জরুরি পরিষেবা দেওয়াকালীন সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ, ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ-সহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসক নিগ্রহের খবর উঠে আসে । সেই ঘটনাকে সামনে রেখেই নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে আবার 1 অক্টোবর থেকে কর্মবিরতিতে গিয়েছিলেন তাঁরা ।
অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্ট সকল জুনিয়র চিকিৎসকদের পূর্ণ কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার কথা বলেছিলেন । সিনিয়র চিকিৎসকদের তরফেও জুনিয়রদের কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলা হচ্ছিল । পুজো এবং রোগীর স্বার্থকে বিবেচনা করে কাজে যোগ দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা । যদিও কর্মবিরোধী-ধর্মঘট শেষ করার ঘোষণা করে জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দাবি মেনে নিতে সরকারকে 24 ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে । দাবি মানা না-হলে তাঁরা অনশনে যাবেন ।
প্রসঙ্গত, দশ দফা দাবি সামনে রেখে আন্দোলন শুরু করেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা । কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলেও রাজ্য সরকারের কাছে সময় বেঁধে দিয়েছেন তাঁরা । 24 ঘণ্টার ডেডলাইন দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে । আন্দোলনের অন্যতম মুখ দেবাশিস হালদার বলেন, ‘‘আমাদের এই অবস্থান মঞ্চে একটি ঘড়ি থাকবে । প্রতিটি সেকেন্ড-মিনিটের হিসেব হবে । 24 ঘণ্টার মধ্যে দাবি মানা না-হলে অনশন শুরু করব । নিজেদের জীবন বাজি রাখব ।’’
রুমেলিকা কুমার বলেন, ‘‘আমরা কর্মবিরতির পক্ষে নই । আমরা পরিষেবা দিতে চাই । কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে রোগীর মধ্যে একটা বিরোধ তৈরি করার চেষ্টা চলছে, আমাদের গণশত্রু বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে । আমরা কাজও করব, পাশাপাশি অভয়ার ন্যায়বিচারের জন্য রাস্তায় থাকব ।’’