কলকাতা, 20 জানুয়ারি: পুলিশি তলবের বিরুদ্ধে আরজি কর আন্দোলনের অন্যতম মুখ তথা জুনিয়র চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়া কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন। অভিযোগ, সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। বিভিন্ন ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এমনকী প্রায় 30 জন পুলিশ তার বাড়িতে গিয়ে তল্লাশির নামে আতঙ্ক ছড়ায়। এমন দাবি করে মামলা দায়েরের অনুমতি চান তিনি ৷ সোমবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। তবে মামলার শুনানির সময় নির্দিষ্ট করা হয়নি।
গত বুধবার আসফাকুল্লাকে শো-কজ করে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। পিজিটি (পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি) হয়েও ইএনটি সার্জনের পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে আসফাকুল্লাকে সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। আসফাকুল্লার বাড়ি দক্ষিণ 24 পরগনার কাকদ্বীপের রামতনু নগর এলাকায়। এরপরই বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি করে বিধাননগর পুলিশ। বেশকিছু নথি সংগ্রহ করে নিয়ে যায় তারা।
সোমবার আসফাকুল্লাকে ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় ডেকে পাঠানো হয়। আসফাকুল্লার পরিবার দাবি করে, কোনওরকম নোটিশ না-দিয়েই এসেছিল পুলিশ। অন্যদিকে, আসফাকুল্লা এদিন শিয়ালদা আদালতে আরজি করের ঘটনায় রায় ঘোষণার পর আন্দোলনের পক্ষে আরও সুর চড়িয়েছেন। আন্দোলন কোনওভাবেই রোখা যাবে না-বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন । আরজি করের ঘটনায় আজ শিয়ালদা আদালতের বিচারক যে সাজা শুনিয়েছে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে তাতে তারা সন্তুষ্ট নয় বলেও দাবি আসফাকুল্লা-সহ বহু জুনিয়র চিকিৎসকের । আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটতে চলেছেন তাঁরা বলেও আজ জানান তিনি।
জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের অন্যতম পরিচিত নেতা আসফাকুল্লা নাইয়া এদিন সাংবাদিকদের বলেন, "আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট নই ৷ আমাদের আন্দোলন চলবে ৷ একা সঞ্জয় রায় নয়, আরও অনেকেই জড়িত ৷ সকলকে নিয়ে আমরা ফের আলোচনায় বসব ৷"