বালুরঘাট, 16 মে: উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট বেরোনোর এক সপ্তাহ পর রাজ্যের মেধা তালিকায় নাম উঠল দক্ষিণ দিনাজপুরের। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যের মেধা তালিকায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার 7 পরীক্ষার্থী স্থান করে নিয়েছিল। কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় ছিল না দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার নাম। অবশেষে রেজাল্ট বেরোনোর 7 দিন পর খাতা রিভিউ করে মেধাতালিকায় দশম স্থান করে নিলেন বালুরঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র জয়দীপ সামন্ত।
শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বালুরঘাট হাইস্কুলের জয়দীপ সামন্ত 482 নম্বর পেয়েছিলেন। নিজের এই নম্বরে সন্তুষ্ট না-হয়ে তিনি তাঁর নম্বর রিভিউ করতে দিয়েছিলেন। রিভিউ করার পর তাঁর প্রাপ্ত নম্বর বেড়ে হয়েছে 487। স্বভাবতই 487 নম্বর পেয়ে জয়দীপ এখন রাজ্যের মেধাতালিকায় দশম স্থান অধিকার করলেন। জয়দীপ রাজ্যের মেধা তালিকায় স্থান করে নেওয়ায় খুশি তাঁর পরিবারসহ-সমস্ত জেলাবাসী ৷
প্রসঙ্গত, জয়দীপ এনকেলাইসিস স্পন্ডালাইটিস রোগে আক্রান্ত। দীর্ঘক্ষণ একভাবে বসে থাকতে পারেন না। বর্তমানে বেঙ্গালুরুর চিকিৎসকের ওষুধ খেয়ে কিছুটা ভালো রয়েছেন। বাবা অসিত কুমার সামন্ত অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী। মা অঞ্জনা সামন্ত গৃহবধূ। দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট জয়দীপ, কুইজ করতে ভালোবাসেন। একাদশ শ্রেণিতে যুব-সংসদ কুইজ প্রতিযোগিতায় মালদা ডিভিশনে জয়দীপ আর তাঁর বন্ধু দিব্যতনু চ্যাম্পিয়নও হয়েছিলেন।
জয়দীপ বলেন, "আমার দু'টো বিষয়ে রিভিউ করার পর নম্বর বেড়েছে। সেই দু'টি বিষয় হল বাংলা এবং ইতিহাস। যখন আমার উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল বেরিয়েছিল তখনই আমি ঠিক করে নিয়েছিলাম আমি রিভিউ করতে দেব। আমি জানতাম, আমার নম্বর অবশ্যই বাড়বে। বৃহস্পতিবার এই রিভিউের রেজাল্ট এসেছে। সবমিলিয়ে আমি এখন রাজ্যের মেধাতালিকায় দশম স্থান অধিকার করলাম। আগে 482 নম্বর ছিল বেড়ে হল 487। পরবর্তীকালে ইউপিএসসি পরীক্ষা দিয়ে আইএএস অফিসার হতে চাই।"
বাবা কথায়, "আমি ছেলের ফলাফলে খুবই খুশি। উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল বেরোনোর পর ও বলেছিল আমার নম্বর বাড়বে। তাই রিভিউ করতে দিয়েছিল। রাজ্যের মেধাতালিকায় বর্তমানে 487 নম্বর পেয়ে দশম স্থান অধিকার করল। আমি আমার পরিবার এবং প্রতিবেশীরা ওর এই সাফল্যে দারুণ খুশি।"
আরও পড়ুন: