কলকাতা, 23 অগস্ট: আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক-পড়ুয়ার হত্যার ঘটনায় তদন্ত করছে সিবিআই ৷ চলছে জিজ্ঞাসাবাদ ৷ তদন্তের স্বার্থে আরও পাঁচ চিকিৎসকে তলব করার আবেদন জানালেন সিনিয়র চিকিৎসকেরা ৷ জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্সের তরফে বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের নাম প্রকাশ্যে আনা হয় ৷ তাঁদের এবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন জানাল চিকিৎসক সংগঠন ৷
তাঁদের কথায়, 9 অগস্ট সকালে কয়েকজন চিকিৎসককে আরজি কর হাসপাতালে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল ৷ যদিও তাঁরা আরজি কর হাসপতালের কেউ নয় ৷ তাহলে সেদিন তাঁরা হাসপাতালে কী করছিলেন ? প্রশ্ন তোলেন চিকিৎসকরা । এই ঘটনায় আগেই চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী ইটিভি ভারতকে এক বৈঠকের কথা জানিয়েছিলেন ৷
তিনি বলেছিলেন, আরজি কর হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নেতৃত্বে নির্যাতিতা মৃত পড়ুয়া চিকিৎসকের দেহর পাশেই ওই বৈঠকটি হয়েছিল ৷ সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট চিকিৎসক সুশান্ত রায় এবং তৃণমূল চিকিৎসক সংগঠনের নেতা ডাঃ অভীক দে ৷
এই বৈঠক ঘিরেই প্রশ্ন তুলল জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স ৷ এই সংগঠনের সদস্য চিকিৎসক উৎপল বন্দোপাধ্যায় বলেন, "ওইদিন সন্দীপ ঘোষ ছাড়াও হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন চিকিৎসক সুশান্ত রায়, চিকিৎসক অভীক দে, চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, চিকিৎসক শ্যামাপদ দাস ৷ এঁরা সকলেই উত্তরবঙ্গ লবি ৷ এঁরা সেদিন কেন এসেছিলেন হাসপাতালে, তা জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে ৷"
শুধুমাত্র আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল নয়, রাজ্যের প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ৷ সংগঠনের কথায়, গত বছর ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ ইউনিভার্সিটি থেকে দুর্নীতির অভিযোগে সুহৃতা পালকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল ৷ তাহলে তিনি এখন কীভাবে স্বাস্থ্য দফতর থেকে পদ পাচ্ছেন ? চিকিৎসক উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "স্বাস্থ্য ভবন থেকে এই দুর্নীতি শুরু হচ্ছে ৷ জনস্বার্থে বিশেষজ্ঞ হিসাবে যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁদের সবাইকে মর্যাদাহীন করা হয়েছে ৷ যেমন চিকিৎসক সত্যজিৎ চক্রবর্তী, চিকিৎসক কাজল কৃষ্ণ বণিক, চিকিৎসক শুভাশিস সাহা এবং চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী। তাঁদের অধিকাংশকেই শুধু বদলির পর বদলি করা হয়েছে ৷ অন্যদিকে দিলীপ মণ্ডলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল ৷ কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করা হয়নি ৷"