কলকাতা, 12 মার্চ: দরকার হলে আইন বদলে নিয়োগ দেওয়ার কথা শোনা গেল হাজার দিনের বেশি সময় ধরে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের মুখে। পরপর চারবার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থী। আশার কথা বারবার শোনা গেলেও আশাহত হতে হয়েছে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের ৷
সোমবার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন চাকরিপ্রার্থী। সমস্যার জট কাটাতে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বৈঠক করেন এজির সঙ্গে। তবে সেখানেও কোন আশার আলো দেখতে পাননি চাকরিপ্রার্থীরা। তাই এবার সরকারের সদ্বিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন করলেন গান্ধি মূর্তির পাদদেশে ধরনায় থাকা চাকরিপ্রার্থীরা। মঙ্গলবার বিকেলে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন দীর্ঘ 1094 দিন আন্দোলনে বসে থাকা চাকরি প্রার্থীরা। আবু নাসের ঘরামী বলেন, "2019 সালের আমাদের ধরনামঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী এবং তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এসে বলেছিলেন আইন পরিবর্তন করে নিয়োগ করা হবে। ফলে বিধানসভার অধিবেশনে নতুন আইন এনে তাতে রাজ্যপালের সই করে আমাদের নিয়োগ দিক।" তাঁদের মতে সুপার নিউমেরিক সিটের কোনও প্রয়োজন নেই। যদি নতুন আইন করে প্যানেল প্রকাশ করে তাহলে যে শিক্ষক শূন্যতা রাজ্যে তৈরি হয়েছে তা মিটবে।
অন্যদিকে রাজ্যের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীকে নিশানা করেন চাকরিপ্রার্থীরা। মিঠুন বিশ্বাস জানান, "কুণাল ঘোষ না হয় আমাদের নিয়োগের এই জটিলতার জন্য সমাধান চাইছেন। কিন্তু ওনার দলের সবাই কি এই সমাধানটা চাইছেন? যদি করে থাকে তাহলে আইনি এই পদক্ষেপটা নিক। আমি একটা কথা মনে করিয়ে দিই, এই বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে যাঁরা প্রতারণা করেছেন তৎকালীন এসএসসি চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি এবং তত্কালীন শিক্ষামন্ত্রীও এখন জেলে চোখের জল ফেলছেন। ফলে আমাদের যোগ্যতার এই চাকরি আমাদের দিতেই হবে আর নয়তো বর্তমানে যাঁরা আছেন তাঁদের কেউও জেলে যেতে হবে।"
উল্লেখ্য, চাকরির দাবিতে যোগ্য প্রার্থীদের গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনা হাজার দিন পার করে গিয়েছে ৷ সেই আন্দোলন এখনও চলছে ৷ তারপরেই আন্দোলন মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। শুধু তাই নয়, তাঁরই মধ্যস্থতায় চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে দু'দফায় বৈঠকও করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। ফের সোমবার বৈঠক হলেও ফল অধরা ৷
আরও পড়ুন