ETV Bharat / state

ফরাক্কায় নাবালিকা ধর্ষণ-খুন, 2 জনকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত - FARAKKA MINOR RAPE MURDER CASE

ফুলের লোভ দেখিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুন করা হয় ৷ এই নৃশংস ঘটনায় অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করল আদালত ৷

FARAKKA MINOR RAPE MURDER CASE
ফরাক্কায় নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষী (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 2 hours ago

জঙ্গিপুর, 12 ডিসেম্বর: জয়নগরের পর এবার ফরাক্কা ৷ নাবালিকা ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় 59 দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় দুই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করলেন জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক অমিতাভ মুখোপাধ্যায় ৷ পুলিশের দাবি, একজন সরাসরি ঘটনাটি ঘটিয়েছে । অন্যজন তাকে সাহায্য করেছে।

জানা গিয়েছে, পুজোয় নাবালিকা মামার বাড়িতে এসেছিল ৷ 13 অক্টোবর সেখানে সমবয়সিদের সঙ্গে খেলায় সময় হঠাৎ সে নিখোঁজ হয়ে যায় ৷ পরে অভিযোগ ওঠে, এক ব্যক্তি তাকে প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় ৷ নাবালিকাকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার সাক্ষী ছিল তার বন্ধুরা ৷

ফরাক্কায় নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষী (ইটিভি ভারত)

এরপর অভিযুক্তর বাড়ি থেকে নাবালিকার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয় ৷ সেদিনই মূল অভিযুক্ত দীনবন্ধুকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৷ পরে 19 অক্টোবর শুভজিৎ হালদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ পুলিশের দাবি, নাবালিকাকে খুন ও তার উপর যৌন নির্যাতন চালাতে দীনবন্ধুকে সাহায্য করেছিল শুভজিৎ ।

এই ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার 21 দিন পর 5 নভেম্বর 622 পাতার চার্জশিট জমা দেয় ফরাক্কা থানার পুলিশ । এদিন মূল দুই অভিযুক্ত দীনবন্ধু হালদার ও শুভজিৎ হালদার ওরফে শুভকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল ৷ দু'জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, খুন, খুনের পর ধর্ষণ ও প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, "দু'জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন বিচারক ৷ আগামিকাল (13 ডিসেম্বর) সাজা ঘোষণা হবে ৷"

সরকারি কৌঁসুলির বক্তব্য

এই ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "ঘটনাটি ঘটেছিল 13 অক্টোবর ৷ নাবালিকা তার মামার বাড়িতে এসেছিল ৷ ছোট বোনের সঙ্গে ফুল নিয়ে খেলা করছিল ৷ ও ফুল খুব ভালোবাসত ৷ ঠিক সে সময় দীনবন্ধু হালদার নাবালিকাকে ফুলের লোভ দেখায় ৷ বাকি মেয়েরাও তখন বলে আমরাও যাব ৷ কিন্তু তাদের আসতে বারণ করে দীনবন্ধু ৷ আলাদা করে এই মেয়েটিকে নিয়ে তার নিজের বাড়িতে যায় দীনবন্ধু ৷"

সরকারি আইনজীবী আরও বলেন, "মেয়েটিকে নিয়ে যখন ও নিজের বাড়িতে ঢুকছিল, তখন উল্টোদিকের বাড়ির এক মহিলা সেই দৃশ্য দেখে ফেলেন ৷ এর ঠিক কয়েক মিনিটের মধ্যে শুভজিৎ হালদারও ওই বাড়ির মধ্যে ঢোকে ৷ দু'জনে মেয়েটির মুখে কাপড় চাপা দিয়ে নৃশংসভাবে শারীরিক অত্যাচার করে ৷ নাবালিকার দেহে একাধিক জায়গায় ক্ষত পাওয়া গিয়েছে ৷ মুখ ও গলা চেপে হত্যা করা হয়েছে ৷ পরে আসামী তদন্তে স্বীকার করেছিল যে কাপড় দিয়ে মারা হয়েছিল নাবালিকাকে ৷"

নাবালিকা নির্যাতন খুনে আন্দোলন-বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে ফরাক্কা থানা ৷ এই খুনের মামলায় যুক্ত দুই অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন জানিয়ে চার্জশিট পেশ করে ফারাক্কা থানার পুলিশ ৷ এরপর সাক্ষ্য গ্রহণ এবং সমস্ত শুনানি প্রক্রিয়া শেষ করে আজ, 12 ডিসেম্বর দীনবন্ধু হালদার এবং শুভজিৎ হালদারকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত ৷ আগামিকাল, শুক্রবার সাজা ঘোষণা করবেন জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতের বিচারক ৷

জঙ্গিপুর, 12 ডিসেম্বর: জয়নগরের পর এবার ফরাক্কা ৷ নাবালিকা ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় 59 দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় দুই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করলেন জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক অমিতাভ মুখোপাধ্যায় ৷ পুলিশের দাবি, একজন সরাসরি ঘটনাটি ঘটিয়েছে । অন্যজন তাকে সাহায্য করেছে।

জানা গিয়েছে, পুজোয় নাবালিকা মামার বাড়িতে এসেছিল ৷ 13 অক্টোবর সেখানে সমবয়সিদের সঙ্গে খেলায় সময় হঠাৎ সে নিখোঁজ হয়ে যায় ৷ পরে অভিযোগ ওঠে, এক ব্যক্তি তাকে প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় ৷ নাবালিকাকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার সাক্ষী ছিল তার বন্ধুরা ৷

ফরাক্কায় নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষী (ইটিভি ভারত)

এরপর অভিযুক্তর বাড়ি থেকে নাবালিকার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয় ৷ সেদিনই মূল অভিযুক্ত দীনবন্ধুকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৷ পরে 19 অক্টোবর শুভজিৎ হালদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ পুলিশের দাবি, নাবালিকাকে খুন ও তার উপর যৌন নির্যাতন চালাতে দীনবন্ধুকে সাহায্য করেছিল শুভজিৎ ।

এই ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার 21 দিন পর 5 নভেম্বর 622 পাতার চার্জশিট জমা দেয় ফরাক্কা থানার পুলিশ । এদিন মূল দুই অভিযুক্ত দীনবন্ধু হালদার ও শুভজিৎ হালদার ওরফে শুভকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল ৷ দু'জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, খুন, খুনের পর ধর্ষণ ও প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, "দু'জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন বিচারক ৷ আগামিকাল (13 ডিসেম্বর) সাজা ঘোষণা হবে ৷"

সরকারি কৌঁসুলির বক্তব্য

এই ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "ঘটনাটি ঘটেছিল 13 অক্টোবর ৷ নাবালিকা তার মামার বাড়িতে এসেছিল ৷ ছোট বোনের সঙ্গে ফুল নিয়ে খেলা করছিল ৷ ও ফুল খুব ভালোবাসত ৷ ঠিক সে সময় দীনবন্ধু হালদার নাবালিকাকে ফুলের লোভ দেখায় ৷ বাকি মেয়েরাও তখন বলে আমরাও যাব ৷ কিন্তু তাদের আসতে বারণ করে দীনবন্ধু ৷ আলাদা করে এই মেয়েটিকে নিয়ে তার নিজের বাড়িতে যায় দীনবন্ধু ৷"

সরকারি আইনজীবী আরও বলেন, "মেয়েটিকে নিয়ে যখন ও নিজের বাড়িতে ঢুকছিল, তখন উল্টোদিকের বাড়ির এক মহিলা সেই দৃশ্য দেখে ফেলেন ৷ এর ঠিক কয়েক মিনিটের মধ্যে শুভজিৎ হালদারও ওই বাড়ির মধ্যে ঢোকে ৷ দু'জনে মেয়েটির মুখে কাপড় চাপা দিয়ে নৃশংসভাবে শারীরিক অত্যাচার করে ৷ নাবালিকার দেহে একাধিক জায়গায় ক্ষত পাওয়া গিয়েছে ৷ মুখ ও গলা চেপে হত্যা করা হয়েছে ৷ পরে আসামী তদন্তে স্বীকার করেছিল যে কাপড় দিয়ে মারা হয়েছিল নাবালিকাকে ৷"

নাবালিকা নির্যাতন খুনে আন্দোলন-বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে ফরাক্কা থানা ৷ এই খুনের মামলায় যুক্ত দুই অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন জানিয়ে চার্জশিট পেশ করে ফারাক্কা থানার পুলিশ ৷ এরপর সাক্ষ্য গ্রহণ এবং সমস্ত শুনানি প্রক্রিয়া শেষ করে আজ, 12 ডিসেম্বর দীনবন্ধু হালদার এবং শুভজিৎ হালদারকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত ৷ আগামিকাল, শুক্রবার সাজা ঘোষণা করবেন জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতের বিচারক ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.