শিলিগুড়ি, 5 জুলাই: তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি, তিনি আত্মসমর্পণ করেছেন ৷ শুক্রবার শিলিগুড়িতে নেমে বাগডোগরা বিমানবন্দরে এমনই দাবি করলেন জমিকাণ্ডে দিল্লি থেকে গ্রেফতার হওয়া জলপাইগুড়ি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা গৌতম গোস্বামী ।
তিনি এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "মানুষের জন্য রাজনীতি করি । আমার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আর রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার উপর ভরসা আছে । আমাকে গ্রেফতার করা হয়নি । আমি আত্মসমর্পণ করেছি ।"
এদিন তাঁকে দিল্লি থেকে বিমানে শিলিগুড়িতে নিয়ে আসে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের স্পেশাল অপারেশনস গ্রুপ । তবে গৌতম গোস্বামী যে আত্মসমর্পণ করার কথা দাবি করছেন, তাতেই জল্পনা শুরু হয়েছে । এদিন বিমানবন্দরে নামার পর তাঁকে মাটিগাড়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানেও তিনি জানান যে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রয়েছে । তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হল সেটা অভিযোগকারী জুলাপি রায় বলতে পারবেন বলে দাবি করেন গৌতম গোস্বামী ।
তিনি দিন দশেক আগে চিকিৎসার জন্য বেঙ্গালুরুতে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন । সেখান থেকে দিল্লিতে গেলে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাঁকে এসওজি গ্রেফতার করে বলে পুলিশ সূত্রে খবর । প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ি সংলগ্ন রাজগঞ্জ ব্লকের ভোরের আলো পর্যটন কেন্দ্রের কাছে পাঘালুপাড়ার বাসিন্দা জুলাপি রায় নামে এক মহিলার জমি দখলের অভিযোগ ওঠে । জমি দখলের জন্য দেবাশিস প্রামাণিক ও গৌতম গোস্বামীর নির্দেশে জুলাপি রায় ও তাঁর পরিবারের উপর জমি মাফিয়ারা হামলা চালায় বলে অভিযোগ ।
এরপর ওই মহিলা এনজেপি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্রথমে জলপাইগুড়ি জেলাপরিষদের সদস্য তথা ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দেবাশিস প্রামাণিককে গ্রেফতার করা হয় ৷ আর আজ জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি গৌতম গোস্বামীকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ । ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।