শিলিগুড়ি, 6 জুলাই: "মুখ্যমন্ত্রীর একটা অর্ডারের পরই ডাবগ্রাম ফুলবাড়িতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। তবে তিনি ঠিকই নীতি নিয়েছেন।" শনিবার এমনটাই বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শোনা গেল জমিকান্ডে ধৃত ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি ব্লক সহ সভাপতি গৌতম গোস্বামী। এদিন তাঁকে মাটিগাড়া থানা থেকে জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়েছে । তবে প্রথমে তাঁর গ্রেফতারি ও তারপর বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে রাজনৈতিকমহলে শোরগোল পরে গিয়েছে। এদিন জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করা হলে তার পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানায় পুলিশ।
এদিন আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা গৌতম গোস্বামী বলেন, "দলের প্রতি আমার আস্থা আছে। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে মাথা পেতে নেবো। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে আমি রাজনীতিতে এসেছিলাম। সেই মুখ্যমন্ত্রীর একটা নির্দেশের পর ডাবগ্রাম ফুলবাড়িতে বিশৃঙ্খলার তৈরি হয়েছে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিকই তাঁর নীতি নিয়েছেন। জুলাপি রায়কে আমি চিনি না । তার কী পরিকল্পনা জানি না। জুলাপি রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে সব হয়েছে। আমি চিকিৎসার জন্য বাইরে ছিলাম। আমার চিকিৎসা শেষ হয়েছে, আমি আত্মসমর্পণ করেছি । শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের উপর আর আস্থা আছে। ন্যায্য বিচার আমি পাবো।"
প্রসঙ্গত, সমস্যার সূত্রপাত এক জুলাপি রায় নামে মহিলার জমি দখলকে কেন্দ্র করে ৷ শিলিগুড়ি সংলগ্ন 'ভোরের আলো পর্যটন' কেন্দ্র এলাকায় পাঘালুপাড়ার বাসিন্দা তিনি ৷ তাঁর ব্যক্তিগত জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে । অভিযোগ, ওই ঘটনায় দেবাশিস প্রামাণিক এবং গৌতম গোস্বামীর নেতৃত্বে আরও বেশ কয়েকজন জমি মাফিয়া জুলাপি রায়ের জমির দখল করার চেষ্টা করে ৷ এমনকি জুলাপি রায় ও তার পরিবারের উপর দীর্ঘদিন অত্যাচার চালানোর পাশাপাশি প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছিল ৷
এই অভিযোগের পরই নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ এবং স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ফুলবাড়ির বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে দেবাশিস প্রামাণিককে। ওইদিনই আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু দেবাশিস প্রামাণিকের গ্রেফতারের পরই তৃণমূল নেতা গৌতম গোস্বামীকে শুক্রবার দিল্লি থেকে গ্রেফতার করেছে এসওজি।