দুর্গাপুর, 21 ফেব্রুয়ারি: বিগত প্রায় এক দশকের বেশি সময়ের আগে দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের জে.এম সেনগুপ্ত রোডে বেসরকারি বাংলা মাধ্যমে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করে । জন্মলগ্ন থেকেই সেই বিদ্যালয় মহা ধুমধামের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়ে আসছে । এপার বাংলা ও ওপার বাংলার মেলবন্ধনে বহুবার নিষ্ঠার সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন দেখেছে দুর্গাপুর । কিন্তু এবার পরিস্থিতি একেবারে অন্যরকম ।
এই বিদ্যালয়ে বাংলাদেশের অনুকরণে তৈরি হয়েছে ভাষা শহিদ স্মৃতিসৌধ । প্রত্যেকদিন নিয়ম করে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা ভাষা শহিদদের স্মরণ করে । কিন্তু এই বিদ্যালয়ের জন্মের পর থেকে এই প্রথম ওপার বাংলা থেকে কোনও সাহিত্যিক, কবি কিংবা বুদ্ধিজীবী আসতে পারলেন না । স্বাভাবিকভাবে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা এবং দুর্গাপুরের বহু মানুষ এপার ও ওপার বাংলার মেলবন্ধনে ভাষা শহিদদের স্মৃতিতে তর্পণ থেকে বঞ্চিত রইলেন ।
বাংলাদেশের সাহিত্যিক-শিল্পীরা জানিয়েছেন, অস্থির পরিস্থিতির জন্য আসতে পারছেন না । ফলে এবারের আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসে দুর্গাপুরের বেসরকারি বাংলা মাধ্যমে স্কুলের অনুষ্ঠান কাঁটছাট করতে হল । দুর্গাপুরের ইস্পাত নগরীর একটি বেসরকারি বাংলা মাধ্যম স্কুলে রয়েছে ভাষা শহিদ মিনারের অনুকরণে তৈরি মিনার । প্রতিবছর আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসে সেই শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো হয় । তারপরেই চলে নানান অনুষ্ঠান । উপস্থিত থাকেন বাংলাদেশের কবি, সাহিত্যিক-সহ নানান শিল্পীরা ।
এবারেও ফুল-সহ নানান জিনিস দিয়ে সাজানো হয়েছে ভাষা শহিদ মিনারের চতুর্দিক । তবে এবারের অনুষ্ঠান একদিনই চলবে । স্কুলের সম্পাদক সুশান্ত পোদ্দার বলেন, ‘‘ঢাকার ভাষা শহিদ মিনারের অনুকরণে এই শহিদ মিনার তৈরি । এবারেও আমরা বাংলাদেশের সাহিত্যিক ও শিল্পীদের আমন্ত্রণ করেছিলাম । ওনারা আমাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন । সেখানকার সরকারের বিরুদ্ধ বিরুদ্ধচারণে অস্থির পরিস্থিতি । তাঁরা আসতে পারছেন না প্রশাসনিক জটিলতায় । অন্যান্য বছর বেশ কয়েকদিন ধরে নানান অনুষ্ঠান চলে । মাতৃভাষা আন্দোলন শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ থেকে । কিন্তু এই বছর আমাদের আফসোস, সেইভাবে অনুষ্ঠান হবে না । এই বছর একদিনই চলবে অনুষ্ঠান ।’’