মগরা, 10 মে: তৃণমূল ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ও অফিসে আয়কর হানা । হুগলির মগরা-আদিসপ্তগ্রামে শুক্রবার সকালে আয়কর হানা দেয় ৷ প্রভাবশালী ব্যবসায়ী কমল দাস, বৈদ্যনাথ সাহা (বৈদ্য), সত্যরঞ্জন শীল (সোনা), দিলপ্রীত সিং, অভিজিৎ ঘট (টিঙ্কু)-সহ একাধিক ব্যবসায়ীর বাড়ি ও অফিসে চলছে তল্লাশি । এই কমল দাসের নামে গত কয়েকদিন আগে তৃণমূলের ফান্ডিং করার অভিযোগ তোলে লকেট চট্টোপাধ্যায়-সহ বিজেপি নেতৃত্ব ৷
শুক্রবার সকালে আয়কর দফতরের 6টি দল মগরা ও বাঁশবেড়িয়ায় তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের ঠিকানায় হানা দেয় । সিআরপিএফ জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা ৷ আজ মগরার পেট্রল পাম্প সংলগ্ন অফিসে আয়কর দফতরের অফিসাররা 6টি গাড়িতে করে আসেন। সকাল থেকে এখনও চলছে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর্ব। যদিও কীসের সন্ধানে এদিনের অভিযান, সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।
তৃণমূলের অভিযোগ, গত 22 মার্চ এবং 3 এপ্রিল বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী, হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের পদ্মপ্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় মগরার এই ব্যবসায়ী কমল দাসের নাম উল্লেখ করেছিলেন ৷ ওইদিনের জনসভায় তাঁরা অভিযোগ তুলেছিলেন, কমল দাস তৃণমূলকে ফান্ডিং করে ৷ এরপরই এই ঘটনা। আয়কর হানা নিয়ে বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন,"পশ্চিমবঙ্গে সিন্ডিকেট তোলাবাজি চলছে। যারা এসব করছে তাদের ছাড়া হবে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। দুর্নীতি, গুন্ডাগিরি, মাফিয়া রাজ যা বাংলায় চলছে তার শেষ দেখতে চাই। দুর্নীতি করলে কেউ ছাড় পাবে না।"
হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি অরিন্দম গুইন বলেন, "ব্যবসা করা কি অপরাধ নাকি তৃণমূল ঘনিষ্ঠ হওয়া অপরাধ। লকেট চট্টোপাধ্যায় আগে থেকেই বলে রেখেছেন, কোথায় ইডি, কোথায় সিবিআই আর কোথায় ইনকাম ট্যাক্স যাবে। তার মানে এজেন্সি গুলো বিজেপি হয়ে গিয়েছে। আর যদি ব্যবসায়ীদের কথা বলে তাহলে ইলেক্টোরাল বন্ড টা কী। বিজেপি কত টাকা নিয়েছে।
আরও পড়ুন: