ETV Bharat / state

আরজি কর-কাণ্ডের জের! সুশান্ত-অভীক-বিরূপাক্ষকে সাসপেন্ড আইএমএ-র - IMA Bengal Suspends Three Doctors

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 10, 2024, 7:56 PM IST

RG Kar Doctor Rape and Murder: তিন বিতর্কিত চিকিৎসক ড. সুশান্তকুমার রায়, ড. বিরূপাক্ষ বিশ্বাস ও ড. অভীক দে-কে সাসপেন্ড করল আইএমএ-র পশ্চিমবঙ্গ শাখা ৷ আরজি কর-কাণ্ডের জেরেই তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷

IMA BENGAL SUSPENDS THREE DOCTORS
আরজি কর-কাণ্ডের জের! সুশান্ত-অভীক-বিরূপাক্ষকে সাসপেন্ড আইএমএ-র (ইটিভি ভারত)

জলপাইগুড়ি, 10 সেপ্টেম্বর: আরজি কর-কাণ্ডে নাম জড়িয়ে যাওয়া তিন বিতর্কিত চিকিৎসককে সাসপেন্ড করল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্য়াসোসিয়েশনের পশ্চিমবঙ্গ শাখা ৷ মঙ্গলবার আইএমএ-র তরফে জানানো হয়েছে যে ড. সুশান্তকুমার রায়, ড. বিরূপাক্ষ বিশ্বাস ও ড. অভীক দে-কে সাসপেন্ড করা হল ৷

সুশান্তকুমার রায় আইএমএ জলপাইগুড়ির সম্পাদক পদে ছিলেন ৷ অভীক দে ছিলেন সেখানকার সহ-সভাপতি ৷ আর বিরূপাক্ষ বিশ্বাস ছিলেন আইএমএ-র কলকাতা শাখার সহ-সম্পাদক ৷ আরজি কর-কাণ্ডের জেরেই যে এই সাসপেনশন, তাও চিঠিতে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ সেই চিঠিতে আইএমএ-র পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি দিলীপকুমার দত্ত ও সম্পাদক তথা তৃণমূল নেতা শান্তনু সেনের সই রয়েছে ৷

IMA Bengal Suspends Three Doctors
ড. সুশান্ত রায়কে সাসপেন্ড করার চিঠি৷ (নিজস্ব চিত্র)

উল্লেখ্য, জলপাইগুড়ির চিকিৎসক সুশান্ত রায় দীর্ঘদিন ধরে নানা বিতর্কে জড়িয়ে রয়েছেন ৷ সম্প্রতি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়ে যায় ৷ এই ঘটনার নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে তিনিও রয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে ৷ তার উপর এই ঘটনা নিয়ে যখন প্রতিবাদে সামিল আইএমএ, তখন মিছিলই করেনি আইএমএ জলপাইগুড়ি ৷

অভিযোগ উঠেছিল যে সুশান্ত রায়ের জন্যই জলপাইগুড়ি আইএমএ প্রতিবাদে নামেনি ৷ এই নিয়ে অনেকেই সরব হয়েছিলেন ৷ মঙ্গলবার দেখা গেল সুশান্ত রায়কে দেওয়া সাসপেনশনের চিঠিতে সেই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে ৷ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পাশে দাঁড়াতেই সুশান্ত রায় এমন পদক্ষেপ করেছিলেন বলে চিঠিতে বলা হয়েছে ৷

এদিকে এই সাসপেনশনের আগেই মঙ্গলবার সকালে জলপাইগুড়ির চিকিৎসক মহল প্রশ্ন তুলেছিল অভীক দে-কে নিয়ে ৷ সুশান্ত রায়ের জন্য আইএমএ-র জলপাইগুড়ি শাখায় অভীক দে জায়গা পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ তোলেন অনেকে ৷ অভিযোগ, নিজের পাল্লাভারী করতেই এই কাজ করেছিলেন সুশান্ত রায় ৷

IMA Bengal Suspends Three Doctors
ড. বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করার চিঠি (নিজস্ব চিত্র)

এই নিয়ে আইএমএ-র পশ্চিমবঙ্গ শাখার যুগ্ম সম্পাদক ড. রঞ্জন ভট্টাচার্য অভিযোগ করেছিলেন, ‘‘ড. সুশান্তকুমার রায় নিজের কাছের লোকেদের আইএমএ জলপাইগুড়ি শাখার বিভিন্ন পদে রেখেছিলেন । এক নায়কতন্ত্র চালিয়েছেন । শুধু তাই নয়, সাড়ে তিন বছর ধরে কোনও বার্ষিক বৈঠক ছাড়াই তিনি সম্পাদক পদে আছেন । বেঙ্গল ব্রাঞ্চকে এড়িয়েই এককভাবে সংগঠন পরিচালানা করছেন তিনি । আরজি কর কাণ্ডে আজ পর্যন্ত কোনও প্রতিবাদ হল না ৷ এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের ।’’ তিনি অভীক দে-কে বহিষ্কার বা সাসপেন্ডের দাবি তুলেছিলেন ৷ কয়েক ঘণ্টা পর অবশ্য সেটাই সত্যি হয় ৷

IMA Bengal Suspends Three Doctors
ড. অভীক দে-কে সাসপেন্ড করার চিঠি (নিজস্ব চিত্র)

জলপাইগুড়ির ডাক্তার পান্থ দাসগুপ্ত জানান, ‘‘উত্তরবঙ্গ লবির পাল্লা ভারি রাখতেই নিজের পছন্দের ডাক্তারদের আইএমএ জলপাইগুড়ি শাখার কমিটিতে রাখা হয়েছিল । বারবার তাঁকে (সুশান্ত রায়) সরানোর চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি ।’’ তিনিও অভীক দে-র সাসপেনশনের দাবি তুলেছিলেন ৷

এদিকে আইএমএ জলপাইগুড়ির লাইফটাইম সদস্য ড. স্বস্তিশোভন চৌধুরী বলেন, ‘‘বিধানসভা-লোকসভার মতো সুশান্তকুমার রায় নিজে সম্পাদক হয়ে আছেন । তাঁর কাছের লোকেদের বাইরের জেলা থেকে এনে বিভিন্ন পদে বসিয়ে রেখেছেন । আইএমএ-র সভা না ডাকলে আমরা কোনও মতামত প্রকাশ করতে পারছি না ।’’

অন্যদিকে আইএমএ জলপাইগুড়ি শাখার কোষাধ্যক্ষ ড. চঞ্চল ভুইয়াঁ জানান, তিনি সাড়ে তিনবছর থেকে জলপাইগুড়িতে নেই । ফলে সভা সমিতি নিয়ে কোনও কথাই বলতে পারবেন না । এদিকে আইএমএ জলপাইগুড়ি শাখার সভাপতি ড. নিতাই মুখোপাধ্যায়কে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি ।

জলপাইগুড়ি, 10 সেপ্টেম্বর: আরজি কর-কাণ্ডে নাম জড়িয়ে যাওয়া তিন বিতর্কিত চিকিৎসককে সাসপেন্ড করল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্য়াসোসিয়েশনের পশ্চিমবঙ্গ শাখা ৷ মঙ্গলবার আইএমএ-র তরফে জানানো হয়েছে যে ড. সুশান্তকুমার রায়, ড. বিরূপাক্ষ বিশ্বাস ও ড. অভীক দে-কে সাসপেন্ড করা হল ৷

সুশান্তকুমার রায় আইএমএ জলপাইগুড়ির সম্পাদক পদে ছিলেন ৷ অভীক দে ছিলেন সেখানকার সহ-সভাপতি ৷ আর বিরূপাক্ষ বিশ্বাস ছিলেন আইএমএ-র কলকাতা শাখার সহ-সম্পাদক ৷ আরজি কর-কাণ্ডের জেরেই যে এই সাসপেনশন, তাও চিঠিতে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ সেই চিঠিতে আইএমএ-র পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি দিলীপকুমার দত্ত ও সম্পাদক তথা তৃণমূল নেতা শান্তনু সেনের সই রয়েছে ৷

IMA Bengal Suspends Three Doctors
ড. সুশান্ত রায়কে সাসপেন্ড করার চিঠি৷ (নিজস্ব চিত্র)

উল্লেখ্য, জলপাইগুড়ির চিকিৎসক সুশান্ত রায় দীর্ঘদিন ধরে নানা বিতর্কে জড়িয়ে রয়েছেন ৷ সম্প্রতি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়ে যায় ৷ এই ঘটনার নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে তিনিও রয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে ৷ তার উপর এই ঘটনা নিয়ে যখন প্রতিবাদে সামিল আইএমএ, তখন মিছিলই করেনি আইএমএ জলপাইগুড়ি ৷

অভিযোগ উঠেছিল যে সুশান্ত রায়ের জন্যই জলপাইগুড়ি আইএমএ প্রতিবাদে নামেনি ৷ এই নিয়ে অনেকেই সরব হয়েছিলেন ৷ মঙ্গলবার দেখা গেল সুশান্ত রায়কে দেওয়া সাসপেনশনের চিঠিতে সেই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে ৷ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পাশে দাঁড়াতেই সুশান্ত রায় এমন পদক্ষেপ করেছিলেন বলে চিঠিতে বলা হয়েছে ৷

এদিকে এই সাসপেনশনের আগেই মঙ্গলবার সকালে জলপাইগুড়ির চিকিৎসক মহল প্রশ্ন তুলেছিল অভীক দে-কে নিয়ে ৷ সুশান্ত রায়ের জন্য আইএমএ-র জলপাইগুড়ি শাখায় অভীক দে জায়গা পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ তোলেন অনেকে ৷ অভিযোগ, নিজের পাল্লাভারী করতেই এই কাজ করেছিলেন সুশান্ত রায় ৷

IMA Bengal Suspends Three Doctors
ড. বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করার চিঠি (নিজস্ব চিত্র)

এই নিয়ে আইএমএ-র পশ্চিমবঙ্গ শাখার যুগ্ম সম্পাদক ড. রঞ্জন ভট্টাচার্য অভিযোগ করেছিলেন, ‘‘ড. সুশান্তকুমার রায় নিজের কাছের লোকেদের আইএমএ জলপাইগুড়ি শাখার বিভিন্ন পদে রেখেছিলেন । এক নায়কতন্ত্র চালিয়েছেন । শুধু তাই নয়, সাড়ে তিন বছর ধরে কোনও বার্ষিক বৈঠক ছাড়াই তিনি সম্পাদক পদে আছেন । বেঙ্গল ব্রাঞ্চকে এড়িয়েই এককভাবে সংগঠন পরিচালানা করছেন তিনি । আরজি কর কাণ্ডে আজ পর্যন্ত কোনও প্রতিবাদ হল না ৷ এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের ।’’ তিনি অভীক দে-কে বহিষ্কার বা সাসপেন্ডের দাবি তুলেছিলেন ৷ কয়েক ঘণ্টা পর অবশ্য সেটাই সত্যি হয় ৷

IMA Bengal Suspends Three Doctors
ড. অভীক দে-কে সাসপেন্ড করার চিঠি (নিজস্ব চিত্র)

জলপাইগুড়ির ডাক্তার পান্থ দাসগুপ্ত জানান, ‘‘উত্তরবঙ্গ লবির পাল্লা ভারি রাখতেই নিজের পছন্দের ডাক্তারদের আইএমএ জলপাইগুড়ি শাখার কমিটিতে রাখা হয়েছিল । বারবার তাঁকে (সুশান্ত রায়) সরানোর চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি ।’’ তিনিও অভীক দে-র সাসপেনশনের দাবি তুলেছিলেন ৷

এদিকে আইএমএ জলপাইগুড়ির লাইফটাইম সদস্য ড. স্বস্তিশোভন চৌধুরী বলেন, ‘‘বিধানসভা-লোকসভার মতো সুশান্তকুমার রায় নিজে সম্পাদক হয়ে আছেন । তাঁর কাছের লোকেদের বাইরের জেলা থেকে এনে বিভিন্ন পদে বসিয়ে রেখেছেন । আইএমএ-র সভা না ডাকলে আমরা কোনও মতামত প্রকাশ করতে পারছি না ।’’

অন্যদিকে আইএমএ জলপাইগুড়ি শাখার কোষাধ্যক্ষ ড. চঞ্চল ভুইয়াঁ জানান, তিনি সাড়ে তিনবছর থেকে জলপাইগুড়িতে নেই । ফলে সভা সমিতি নিয়ে কোনও কথাই বলতে পারবেন না । এদিকে আইএমএ জলপাইগুড়ি শাখার সভাপতি ড. নিতাই মুখোপাধ্যায়কে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.