নদিয়া, 28 অক্টোবর: ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে অতি ভারীবৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ৷ আর তার প্রভাব এবার ফুল চাষে ৷ গোড়ায় জল জমে নষ্ট হয়েছে ফুলগাছ ৷ তার জেরে কালীপুজোর আগে মাথায় হাত ফুলচাষিদের ৷ প্রায় একই অবস্থা মৃৎশিল্পীদেরও ৷ কালীপুজো ও দীপাবলির আগে রোদ-বৃষ্টির খেলায়, সময়ের মধ্যে মাটির প্রদীপ তৈরির কাজ শেষ হওয়া নিয়ে চিন্তায় শিল্পীরা ৷
ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের অভিযোগ, কালীপুজোর আগে প্রচুর ফুল নষ্ট হয়েছে ৷ এমনকি অতিবৃষ্টির ফলে গাছের গোড়ায় জল জমেছে ৷ ফলে ফুল গাছগুলির গোড়া পচে গিয়েছে ৷ পরিস্থিতি যা, তাতে শীতকালীন মরশুমের ফুলের ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হয়েছে ৷ চাষিদের দাবি, শীতকালে গাঁদা, রজনীগন্ধার মতো ফুলের চাহিদা বেশি থাকে ৷ আর নদিয়া জেলার একটা বড় অংশ জুড়ে এই ফুলগুলির চাষ করা হয় ৷ ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে হওয়া বৃষ্টিতে অধিকাংশ জমিতে জল দাঁড়িয়ে ফুল গাছ নষ্ট হয়েছে ৷ ফলে কালীপুজোর আগে ফুলের ব্যবসায় বড় ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷
অন্যদিকে, একই পরিস্থিতি মৃৎশিল্পীদেরও ৷ শনিবার পর্যন্ত মেঘলা আবহাওয়া থাকায় সময়ের মধ্যে মাটির প্রদীপ শুকোনো সম্ভব হয়নি ৷ মৃৎশিল্পী প্রদীপ কুমার পাল জানাচ্ছেন, মেঘলা আবহাওয়ার কারণে কাজ বন্ধ ছিল ৷ রোদ ওঠার পরেই তাঁরা প্রদীপ তৈরির কাজ শুরু করেছেন ৷ কিন্তু, রোদ ও মেঘের লুকোচুরির মাঝে, তৈরি করা প্রদীপ সময়ে শুকোচ্ছে না ৷ এই পরিস্থিতিতে আগামী বৃহস্পতিবার দীপাবলির আগে, মাটির প্রদীপ তৈরি করে বাজারে পাঠানো বড় চ্যালেঞ্জ মৃৎশিল্পীদের কাছে ৷
তার উপর প্রতি ট্রাক্টর মাটির দাম 2 হাজার টাকা করে পড়ছে ৷ আর সেই মাটি বয়ে আনার খরচ প্রায় পাঁচশো থেকে ছ’শো টাকা ৷ ফলে আড়াই হাজার টাকা খরচ করে মাটি কিনে ও প্রদীপ তৈরির পর, তা যদি বিক্রি করা না-যায়, তাহলে অনেক টাকার ক্ষতি হবে বলে জানাচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা ৷