জলপাইগুড়ি, 24 মে: তৃণমূল নেতার বাড়িতে মদ তৈরির কারখানার খোঁজ । 7-8 ঘণ্টা অভিযান চালিয় প্রায় 6 কোটি টাকার স্পিরিট-সহ মদ তৈরির সামগ্রী উদ্ধার । সাম্প্রতিক সময়ে উত্তরবঙ্গে এত বড় সাফল্য পাওয়া যায়নি বলে দাবি রাজ্য আবগারি দফতরের । রাজ্যে এখনও বাকি দু'দফার নির্বাচন ৷ এই আবহে ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে এলাকায় ৷
রামশাই গ্রাম পঞ্চায়েতের চ্যাংমারি এলাকায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা নিরঞ্জন রায়ের বাড়িতে অবৈধ মদের কারখানার হদিশ পায় আবগারি দফতর ৷ এরপরই জলপাইগুড়ি জেলা আবগারি সুপার সত্যজিৎ চৌধুরী ও ময়নাগুড়ির আবগারির ওসি প্রবীর সান্যালের নেতৃত্বে অভিযান চালায় দফতর । তল্লাশি চলাকালীন রীতিমতো চক্ষু চড়ক গাছ হয়ে যায় দফতরের আধিকারিকদের ।
আরও পড়ুন: মমতার মন্তব্যের প্রতিবাদে পথে সন্ন্যাসীরা, বিঁধলেন কার্তিক মহারাজ
আবগারি দফতর সূত্রে খবর, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চ্যাংমারি গ্রামে অভিযান চালানো হয় । নিরঞ্জন রায়ের বাড়িতে অবৈধভাবে কারখানা বানিয়ে চলত বিলিতি মদ বানানোর কারবার। আবগারি সুপার সত্যজিৎ চৌধুরী জানান, ময়নাগুড়ির চাংমারির নিরঞ্জন রায়ের বাড়িতে চলত এই মদ তৈরি। নিরঞ্জনের স্ত্রী একজন আইডিএস কর্মী । তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে স্পিরিট, লেভেল, মদ প্যাক করা বোতল এবং একটি মোটর । প্রতিদিন মদ বানিয়ে বিহারের পাচার করা হত বলে জানা গিয়েছে । উদ্ধার হওয়া মদের যে লেবেল লাগানো হয়েছিল তাতে পাঞ্জাবে বিক্রি করা যাবে । এই সমস্ত লেবেলই জাল বলে জানা গিয়েছে । এই আবহে নিরঞ্জন রায় পলাতক বলে জানা গিয়েছে ।
উত্তরবঙ্গের অ্যাডিশনাল এক্সাইজ কমিশনার সুজিত দাস জানান, ময়নাগুড়িতে নিরঞ্জন রায়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে 5 কোটি 20 লক্ষ টাকার মদ তৈরির সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে । মদের বোতল-সহ ফেক লেবেল, পাঞ্চিং মেশিন, বোতলের ছিপি এবং বিভিন্ন উপাদান উদ্ধার করা হয়েছে ।
আরও পড়ুন: এবার আরও রাতে মিলবে মেট্রো, যাত্রী সুবিধাই লক্ষ্য ? নাকি রাজনৈতিক গিমিক