ETV Bharat / state

জমির ফসল নষ্ট করার প্রতিবাদে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত মহিলার মৃত্যু, গ্রেফতার 2 - Miscrients Attack on House wife - MISCRIENTS ATTACK ON HOUSE WIFE

Miscrients Attack on Housewife: জমির ধান গরুতে খেয়ে নিয়েছে ৷ প্রতিবাদে জানাতে গেলে দুষ্কৃতী হামলার শিকার হন গৃহবধূ ৷ পরে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয় ৷ এই ঘটনায় আপাতত দুই অভিযুক্ত কৌশিক মাল ও অভিজিৎ মালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷

Miscrients Attack on House wife
দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত মহিলার মৃত্যু
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Apr 15, 2024, 5:32 PM IST

পাইকর (বীরভূম), 15 এপ্রিল: দুষ্কৃতী হামলার গৃহবধূর মত্যু ৷ বীরভূমের পাইকর থানা এলাকার যোগাই গ্রামের ঘটনা । প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন উত্তেজিত জনতা ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় রবিবার অভিযুক্ত দুই যুবক কৌশিক মাল ও অভিজিৎ মালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷

ঘটনার সূত্রপাত চলতি মাসের 9 তারিখ ৷ অভিযোগ, ওইদিন যোগাই গ্রামের দেবী মালের ধান জমিতে একটি গরু নেমে পড়ে ফসল নষ্ট করে দেয় । দেবী ও তার নিকট আত্মীয় শুকদেব মাল প্রতিবাদ করতে গেলে ভীম মাল, সুদীপ মাল, কৌশিক মাল, অভিজিৎ মাল ও পুণ্য মালরা তাদের উপর চড়াও হয় ৷ বাঁশ দিয়ে শুকদেবের মাথা ফাটিয়ে দেয়। সমস্ত ঘটনা জানিয়ে ওইদিনই পাইকর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শুকদেব । কিন্তু পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ জমি মালিক দেবী ও শুকদেব মালের ।

এমনকী পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তেলেন শুকদেব মাল ৷ দাবি, থানার এএসআই শিশির মালের নিকট আত্মীয় অভিযুক্তরা। ফলে শিশিরবাবু এবং থানার ওসি বিরুদ্ধে অভিযুক্তদের আড়াল করার অভিযোগ করেছন। তাতেই অভিযুক্তরা সাহস পেয়ে শনিবার বিকেলে দেবীর বাড়িতে ঢুকে তাঁকে একা পেয়ে লোহার শাবল দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দেবী মালকে পাইকর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । এরপরেই থানার দুই অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করেন পরিবারের লোকজন । থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান ৷

পরিস্থিতি বেগতিক দেখে রবিবার দুপুরে গ্রামে যান রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক গোবিন্দ সিকদার, নলহাটির বিধায়ক রাজেন্দ্র প্রসাদ সিং। তাঁরা পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে তদন্তের আশ্বাস দেন। মৃতার স্বামী সুভাষ মাল বলেন, "পুলিশ প্রথমেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে স্ত্রীকে খুন হতে হত না। আমি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে দুই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। এ নিয়ে আমি জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।" নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিক জানান, কেন পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে দেরি করল তার বিভাগীয় তদন্ত হবে।

আরও পড়ুন:

  1. স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে রায়গঞ্জে আটক স্বামী
  2. গৃহবধূকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ, গ্রেফতার প্রেমিক
  3. দিনদুপুরে ফাঁকা বাড়িতে গৃহ বধূর গলাকাটা দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য রায়গঞ্জে

পাইকর (বীরভূম), 15 এপ্রিল: দুষ্কৃতী হামলার গৃহবধূর মত্যু ৷ বীরভূমের পাইকর থানা এলাকার যোগাই গ্রামের ঘটনা । প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন উত্তেজিত জনতা ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় রবিবার অভিযুক্ত দুই যুবক কৌশিক মাল ও অভিজিৎ মালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷

ঘটনার সূত্রপাত চলতি মাসের 9 তারিখ ৷ অভিযোগ, ওইদিন যোগাই গ্রামের দেবী মালের ধান জমিতে একটি গরু নেমে পড়ে ফসল নষ্ট করে দেয় । দেবী ও তার নিকট আত্মীয় শুকদেব মাল প্রতিবাদ করতে গেলে ভীম মাল, সুদীপ মাল, কৌশিক মাল, অভিজিৎ মাল ও পুণ্য মালরা তাদের উপর চড়াও হয় ৷ বাঁশ দিয়ে শুকদেবের মাথা ফাটিয়ে দেয়। সমস্ত ঘটনা জানিয়ে ওইদিনই পাইকর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শুকদেব । কিন্তু পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ জমি মালিক দেবী ও শুকদেব মালের ।

এমনকী পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তেলেন শুকদেব মাল ৷ দাবি, থানার এএসআই শিশির মালের নিকট আত্মীয় অভিযুক্তরা। ফলে শিশিরবাবু এবং থানার ওসি বিরুদ্ধে অভিযুক্তদের আড়াল করার অভিযোগ করেছন। তাতেই অভিযুক্তরা সাহস পেয়ে শনিবার বিকেলে দেবীর বাড়িতে ঢুকে তাঁকে একা পেয়ে লোহার শাবল দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দেবী মালকে পাইকর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । এরপরেই থানার দুই অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করেন পরিবারের লোকজন । থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান ৷

পরিস্থিতি বেগতিক দেখে রবিবার দুপুরে গ্রামে যান রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক গোবিন্দ সিকদার, নলহাটির বিধায়ক রাজেন্দ্র প্রসাদ সিং। তাঁরা পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে তদন্তের আশ্বাস দেন। মৃতার স্বামী সুভাষ মাল বলেন, "পুলিশ প্রথমেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে স্ত্রীকে খুন হতে হত না। আমি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে দুই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। এ নিয়ে আমি জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।" নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিক জানান, কেন পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে দেরি করল তার বিভাগীয় তদন্ত হবে।

আরও পড়ুন:

  1. স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে রায়গঞ্জে আটক স্বামী
  2. গৃহবধূকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ, গ্রেফতার প্রেমিক
  3. দিনদুপুরে ফাঁকা বাড়িতে গৃহ বধূর গলাকাটা দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য রায়গঞ্জে
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.