চন্দননগর, 11 মে: কখনও দই খেয়েছেন! কখনও ঘুগনি ! হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের মাঠেঘাটে ঘুরে বেড়িয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এবার জনসংযোগে লোকাল ট্রেনে চাপলেন বাংলার দিদি নম্বর 1 ৷ শনিবার সকালে ব্যান্ডেল স্টেশন থেকে টিকিট কেটে প্রচারে ট্রেনে ওঠেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় । হুগলির তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক অসিত মজুমদার ও তৃণমূল কর্মীরা ৷ ভিড় ট্রেনে অভিনেত্রীর সঙ্গে ছবি তুলতে চারদিক দিয়ে উঁকিঝুঁকি দেন মহিলা, পুরুষ, সবাই ৷ বসে থাকা যাত্রী কথা বলতে বলতে উঠে দাঁড়ালেন ৷
ট্রেনে উঠে রচনা বললেন, "ট্রেনের কনডিশন ভালো আছে ৷" ওদিকে এদিক ওদিক ঠেকে ধাক্কাধাক্কি ৷ পিছন থেকে মহিলা কণ্ঠে শোনা যাচ্ছে, "ঠেলছেন কেন দাদা ৷" পুরুষ কণ্ঠ বলে উঠল, "আরে দাদা কী করছেন !" রচনাকে সামলাতে পুলিশও প্রায় হিমশিম খাচ্ছে ৷ হাতে যখন মোবাইল, তখন যাত্রীরা এদিক ওদিক দিয়ে ছবি তুলছেন ! একবার, রচনার সঙ্গে এক ফ্রেমে!
দিদি নম্বর 1 ট্রেন থেকে নেমে চা খেতে বসলেন ৷ তাঁর সঙ্গে দলের স্থানীয় নেতারা রয়েছেন ৷ চোখের সামনে থেকে অভিনেত্রীকে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে আমজনতাও ঘিরে ধরেছে ৷ চা খেয়ে ভালো লেগেছে তৃণমূল প্রার্থীর ৷ দিদির সঙ্গে রয়েছেন আরেক ভক্ত দিদি ৷ তিনি দিদি নম্বর 1 রচনার ভক্ত ৷ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে তিনি নেচে-গেয়ে আসর জমিয়ে দিলেন ৷ হাজির এক গায়ক ৷ তিনি তৃণমূল প্রার্থীকে গেয়ে শোনালেন, "কোনও এক গাঁয়ের কথা শোনাই শোনো..."৷ সব মিলিয়ে চা, গান, নাচে জমজমাট রচনার শনিবারের প্রচার ৷
এদিকে আজই তাঁর হয়ে প্রচারে করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ৷ এই কেন্দ্রে রচনার বিরুদ্ধে প্রার্থী বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ৷ এদিন সাংবাদিকরা রচনাকে প্রশ্ন করেন, লকেট চট্টোপাধ্যায় বলছেন, তৃণমূল নাকি তাদের ঘরে গিয়ে ছবি তুলবেন ৷ রচনা অবাক হয়ে বললেন, "তৃণমূলের ঘর অনেক বড় ৷ কারও ঘরে যাওয়ার দরকার নেই ৷" 2019 সালে লোকসভা ভোটে হুগলি হাতছাড়া হয়েছিল তৃণমূলের ৷ এরপর অবশ্য একুশের নির্বাচনে কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভাই দখল করেছে তৃণমূল ৷ দিদি নম্বর 1 এর জনপ্রিয়তা কি এই কেন্দ্র জয়ে বড় ফ্যাক্টর হবে ?
আরও পড়ুন: