রানিগঞ্জ, 22 জুন: এক শিক্ষিকাকে ক্লাস নিতে বলা নিয়ে অশান্তি । আর সেই অশান্তির কারণে এক সহ-শিক্ষকের মারে আঙুল ভাঙল প্রধান শিক্ষকের । এমনই অভিযোগ উঠেছে রানিগঞ্জ হাইস্কুলে । পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করেছে ৷ যদিও স্কুলে দু'পক্ষই উভয়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন । অন্যদিকে, আটক শিক্ষককে ছাড়ানোর জন্য থানায় পৌঁছেছে ছাত্ররা ।
শনিবার প্রধান শিক্ষক ও সহ শিক্ষকের হাতাহাতিতে উত্তেজনা ছড়ায় রানিগঞ্জ হাইস্কুলে ৷ আঙুল ভেঙে যায় প্রধান শিক্ষকের ৷ আহত প্রধান শিক্ষককে স্থানীয় একটি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় । এই বিষয়ে রানিগঞ্জ হাইস্কুলের আহত প্রধান শিক্ষক প্রতিম চট্টোপাধ্যায় বলেন, "এটা নতুন কিছু নয় । আমার স্কুলের দিদিমণি পাপিয়া মণ্ডল এবং তাঁর স্বামী আমাদের স্কুলেরই শিক্ষক বিজয় দাস আমাকে প্রায়শই হুমকি দেয় । এর আগেও আমাকে হেনস্তা করেছে । আজ পাপিয়ার ক্লাস ছিল । কিন্তু তিনি ক্লাসে যাননি । আমি সেই ক্লাসে যাই । যখন ফিরে আসি তখন পাপিয়া আমাকে উলটে প্রশ্ন করেন কেন আমি ওই ক্লাসে গিয়েছি । এই কথা থেকে অশান্তি শুরু হয় । এরই মাঝে তাঁর স্বামী তথা আমাদের স্কুলের শিক্ষক বিজয় দাস আমাকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করে এবং আমার আঙুল ভেঙে দেয় ।"
এই ঘটনার পরে রানিগঞ্জ থানার পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক বিজয় দাসকে আটক করেছে । যদিও ঘটনার পরে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে । শিক্ষককে কেন পুলিশ নিয়ে গিয়েছে তা নিয়ে তারা থানায় যায় এবং শিক্ষককে ছেড়ে দেওয়ার দাবি করে ৷
অন্যদিকে, অভিযুক্ত শিক্ষক বিজয় দাসের স্ত্রী তথা ওই স্কুলের শিক্ষিকা পাপিয়া মণ্ডল বলেন, "প্রধান শিক্ষকই আমাদের মারতে এসেছিলেন এবং সেই ধাক্কাধাক্কির সময় তিনি আঙুলে কোনওভাবে আঘাত পান । তারপরে তিনি অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন । আমার স্বামীর নাম দিয়ে অভিযোগ করেন যে, তাঁর আঙুল নাকি আমার স্বামী ভেঙে দিয়েছে । আসলে এটা পুরোটাই নাটক । দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের স্বামী-স্ত্রীকে নানা বিষয়ে উনি উত্যক্ত করে থাকেন । আমরা পুরো বিষয়টি এর আগে জেলা পরিদর্শককে জানিয়েছি ।"
ঘটনার বিষয়ে রানিগঞ্জ থানার পুলিশের বক্তব্য, প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে একটি অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে ৷ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।