দুর্গাপুর, 11 জুলাই: সরকারি জমির উপর ছিল একের পর এক দোকান। ট্রেড লাইসেন্সও ছিল। বৃহস্পতিবারের অভিযানে নিমিষের মধ্যে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সেই সমস্ত দোকান। তারপরেই দুর্গাপুরে সিটি সেন্টারের স্টাফ কোয়াটার মোড়ে এলাকায় হকাররা শুরু করে বিক্ষোভ দেখায়।
হকারদের অভিযোগ, বাম আমল থেকে তারা দোকানগুলি তৈরি করেছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে সেখানে ব্যবসা করছেন ৷ দুর্গাপুর পুরনিগমের পক্ষ থেকে সমস্ত দোকানদারদেরই ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। রুজি, রুটির একমাত্র ভরসা ছিল ছোট্ট দোকানগুলি। তবুও বিকল্প ব্যবস্থা না-করে কেন দোকান ভেঙে দেওয়া হল ? এই প্রশ্ন তুলে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিকদের সামনেই বিক্ষোভ দেখান হকাররা।
শনি-সন্ধ্যায় ফিরহাদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ, উচ্ছেদ হওয়া হকারদের দ্রুত সরানো হল
শোভা পান নামে এক হকার কান্নায় ভেঙে পড়েন ৷ তিনি বলেন, "আমার মুদিখানার দোকান ছিল। সেই দোকানের উপর ভর করেই ছেলেমেয়েদের নিয়ে সংসার চালাতাম। আমার স্বামী অসুস্থ। স্বামীর অস্ত্রোপচারের খরচ কী করে জোগাবো ? ছেলেমেয়েদের নিয়ে কী করে সংসার চালাবো? আজ আর ভেবে পাচ্ছি না। আমাদের লক্ষীর ভণ্ডারের দরকার নেই। আমাদের রুজি-রুটির জন্য দোকান ফিরিয়ে দেওয়া হোক। জনতার ভোটে আমরা জনপ্রতিনিধি তৈরি করেছিলাম। তাদের আজ আর দেখা নেই। আমাদের একেবারেই অথৈ জলে পড়ে যেতে হল।"
নাতিদের পড়াব কী করে ? 40 বছর পুরনো দোকান থেকে উচ্ছেদের পথে বৃদ্ধা !
প্রসঙ্গত, রাজ্যজুড়ে হকার অভিযান শুরু হয়েছে ৷ গড়িয়াহাট থেকে শুর করে দুর্গাপুর, বর্ধমান, সিউড়ি, বীরভূম সর্বত্র উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয় ৷ প্রথম দিকে বুলডোজার চালিয়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয় ৷ তা নিয়ে রাজনৈতির মহলে নিন্দার ঝড় ওঠে ৷ পরে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, পুর্নবাসন দিয়ে যেন উচ্ছেদ করা হয় হকারদের ৷