কলকাতা, 9 এপ্রিল: ইডি-র নজরে শিল্পপতি হর্ষ নেওটিয়া ৷ মঙ্গলের সকালেই ইডি-র তলবে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছলেন রাজ্যের প্রখ্যাত শিল্পপতি ৷ জানা গিয়েছে, 'কালীঘাটের কাকু' বলে পরিচিত ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে জেরা শহর কলকাতার একটি নামী নির্মাণ সংস্থার নাম উঠে এসেছিল। আর নেওটিয়া গোষ্ঠীও নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। নির্মাণ সংস্থার কোনও যোগাযোগ রয়েছে কি না, তাও জানতে তাঁকে তলব করা হতে পারে ৷ এর আগে 2015 সালে সারদা মামলাতেও ইডি-র ডাকে সিজিও কমপ্লেক্সে এসেছিলেন এই শিল্পপতি ৷
এদিন সকালেই একটি গাড়ি এসে দাঁডায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ৷ গাড়ি থেকে নামেন রাজ্যের অন্যতম শিল্পপতি হর্ষবর্ধন নেওটিয়া ৷ সেখানে উপস্থিত সাংসবাদিকরা জানতে চান, ইডি-র ডাকে কোন মামলায় সিজিও হয়েছেন তিনি ৷ শিল্পপতি অবশ্য শান্তভাবে মাথা নেড়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে জানান ফিরে এসে তিনি সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেবেন ৷ সুতরাং কোনও মামলায় তাঁকে ডাকা হয়েছে সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও জানা যায়নি ৷
রাজ্যের শিল্পপতিমহলে অত্যন্ত পরিচিত নাম হর্ষবর্ধন নেওটিয়া ৷ একটি নামী সিমেন্ট প্রস্তুতকারী সংস্থা আছে তাঁর ৷ এছড়াও নেওটিয়া গ্রুপের কর্ণধার তিনি। পশ্চিমবঙ্গে একাধিক শিল্প গড়ে তুলেছেন তিনি। মূলত নির্মাণ কাজের সঙ্গে জড়িত তাঁর একাধিক কোম্পানি। লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন হঠাৎ তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকা হল তা নিয়ে রাজনৈতিকমহলও সরগরম ৷
এ রাজ্যে একাধিক মামলায় তদন্ত ভার রয়েছে ইডি-র উপর । নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতি থেকে গরু ও কয়লাপাচার মামলার আর্থিক কেলঙ্কারির তদন্ত করছে ইডি তথা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ৷ ইডি-র দাবি, এই সব মামলায় বিপুল পরিমাণ আর্থিক লেনদেন হয়েছে। তবে কি এই মামলার আর্থিক দুর্নীতিতেই শিল্পপতি হর্ষবর্ধনকে কেন ডাকা হল? তা নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ করেছে বিভিন্ন মহল ৷
আরও পড়ুন: