কলকাতা, 19 ফেব্রুয়ারি: বাজার করতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ৷ তার পর অনেক চেষ্টা করেও খোঁজ পায়নি পরিবার ৷ 11 বছর পর মিলল খোঁজ৷ কলকাতা থেকে বাড়ি ফিরলেন গুজরাতের গোধরার এক গৃহবধূ ৷
ওই মহিলার নাম গীতা প্যাটেল ৷ তিনি গুজরাতের গোধরা এলাকার বাসিন্দা ৷ স্বামী ও তিন সন্তানকে নিয়ে সংসার করার মাঝে 2013 সালে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান বলে পরিবারের দাবি ৷ তারা জানিয়েছে, বাজার করতে যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন গীতা ৷ তার পর আর ফেরেননি৷ পরিবারের তরফে অনেক খোঁজা হয় ৷ কোথাও সন্ধান না পেয়ে পুলিশের কাছে মিসিং ডায়েরি করা হয় ৷
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, পুলিশও খোঁজার যথাসাধ্য চেষ্টা করে ৷ নিখোঁজের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় ৷ আশপাশের সমস্ত মর্গগুলিও খুঁজে দেখা হয় ৷ কিন্তু কোথাও খোঁজ মেলেনি ৷ অবেশেষ হাল ছেড়ে দেন গীতার পরিজনরা ৷
সময় এগিয়ে যায় আপন নিয়মে ৷ 2013 সালের আগের স্মৃতি ফিরে পেতে 11 বছর কেটে যায় গীতার ৷ যদিও তাঁর সুস্থ হয়ে ওঠার নেপথ্যের কারিগর মানসিক চিকিৎসকায় কলকাতার সরকারি হাসপাতাল পাভলভ কর্তৃপক্ষ ৷ সেখানেই এতদিন চিকিৎসা হয়েছে গীতার ৷ হাসপাতাল সূত্রে খবর, সব মনে পড়তেই গীতা কর্তৃপক্ষকে জানান ৷ তার পর খোঁজ শুরু হয় পরিজনদের ৷ হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, "এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করি । তারা গুজরাত পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন । ওখানকার পুলিশ পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমাদের হাসপাতালে আসেন ।"
গত 16 ফেব্রুয়ারি কলকাতায় আসেন গীতার দিদি ও জামাইবাবু ৷ তাঁদের সঙ্গে আসে গুজরাত পুলিশ । ছেলের সঙ্গে ভিডিয়োকলে কথা বলানো হয় ৷ মা ও ছেলে একে অপরকে চিনতে পারেন ৷ দিদি-জামাইবাবুকে তো আগেই চিনেছিলেন গীতা ৷ তার পর সমস্ত প্রক্রিয়া শেষে 17 ফেব্রুয়ারি বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন গীতা ৷ এই বিষয়ে হাসপাতাল ও কলকাতা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে গীতার পরিবার ।
যদিও সেখানে ফিরে গীতার জীবন আগের মতো হবে না ৷ কারণ, সময়ের নিয়মে 11 বছর বয়স বেড়েছে গীতার ৷ 2013 সালে তিনি ছিলেন 31 বছর বয়সী বধূ ৷ এখন তাঁর তাঁর বয়স 42 ৷ এই সময়ের ব্যবধানে প্রয়াত হয়েছেন তাঁর স্বামী ৷ ফলে স্বামীকে ছাড়াই নতুন করে বাঁচতে হবে গোধরার গীতাকে ৷
আরও পড়ুন:
মানসিক হাসপাতালগুলির পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, পাভলভ প্রসঙ্গে মত মনোবিদদের