ফারাক্কা, 10 নভেম্বর: আগ্নেয়াস্ত্রের পাচারের অভিযোগে নিউ ফারাক্কা স্টেশনে জিআরপির হাতে ধরা পড়ল তৃণমূল নেতা ৷ তিনি মালদার বৈষ্ণবনগর থানার পারশোভাপুর এলাকার তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ৷ শনিবার রাতে আব্দুল রশিদকে গ্রেফতার করে নিউ ফারাক্কার জিআরপি।
রেল পুলিশ সূত্রে খবর, গত 27 অক্টোবর দুপুরে নিউ ফারাক্কা রেল স্টেশনের সাবওয়ে থেকে তৌসিফ আলি নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয় ৷ তার কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল দু'টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং 4টি ম্যাগাজিন। ধৃতকে আদালতে পাঠিয়ে জিআরপি হেফাজতে নিয়ে প্রকৃত ঘটনা জানতে পারে। দফায় দফায় জানা যায় এই ঘটনার মূল পাণ্ডা আব্দুল রশিদ ৷ এরপরই তাঁকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত হয় ।
সেই মতো তাকে ফারাক্কা জিআরপি রশিদকে গ্রেফতার করে ৷ রেল পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বাজেয়াপ্ত হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রগুলি বাংলাদেশের এক ব্যক্তির কাছে 1 লক্ষ 20 হাজার টাকায় বিক্রির পরিকল্পনা ছিল ধৃত আব্দুল রশিদের। হাত বদলের আগে আগ্নেয়াস্ত্র মেরামতের জন্য তৌসিফের হাত দিয়ে সেগুলি বিহারের আরারায় পাঠানো হচ্ছিল বলে জানতে পেরেছে রেল পুলিশ।
বিহারে যাওয়ার আগে নিউ ফরাক্কার জিআরপির হাতে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ধরা পড়ে যায় তৌফিক। জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে নিউ ফরাক্কা জিআরপি থানার অফিসাররা অভিযান চালান। তাতেই ধরা পড়েন আব্দুল রশিদ ৷ এদিকে গ্রেফতারের পর রবিবার ধৃত আব্দুল রশিদকে সাত দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানিয়ে জঙ্গীপুর মহকুমা আদালতে পাঠায় নিউ ফারাক্কা জিআরপি।
অভিযুক্তদের জন্য কয়েকটি নির্দিষ্ট প্রশ্ন রয়েছে তদন্তকারীদের। নিজেদের হেফাজতে পেলে সেই সব বিষয় তাঁরা অভিযুক্তদের থেকে জানতে চাইবেন। তদন্তকারীরা জানতে চান, বাংলাদেশের কোথায় কোথায় এভাবে অস্ত্র পাঠানো হয় ? এ রাজ্যের কারা কারা এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত? সম্প্রতি এই ধরনের আর কোনও পাচারের ঘটনা ঘটেছিল কি না ?