কলকাতা, 26 ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালিকাণ্ডে ফের রাজ্য পুলিশের ডিজি'র কাছে রিপোর্ট চাইলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রবিবার রাতে রাজভবনের তরফে ডিজি রাজীব কুমারের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। রাজভবন সূত্রের দাবি, কেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিকে সন্দেশখালি যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে জানতে হয়েছে, কোন অভিযোগের ভিত্তিতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যদের আটক করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয় ? খুব দ্রুত এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
রবিবার সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় 7 সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিকে। পটনা হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি নরসীমা রেড্ডি, চারু বালি খান্না, ভাবনা বাজাজ, অপি ভ্যাস, রাজপাল সিং, অপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বন্দনা বিশ্বাসকে আটক করে লালবাজরে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন রাজ্যপাল। অন্যদিকে, গ্রেফতারির প্রতিবাদে রবিবার রাতেই রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানান নরসীমা রেড্ডিরা।
প্রায় দু'ঘণ্টার বৈঠক সেরে রাজভবন থেকে বেরিয়ে তাঁরা বলেন, "যাবতীয় তথ্য রাজ্যপালকে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যপাল যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আশ্বস্ত করেছেন। আইনশৃঙ্খলা অবনতির ঘটনায় রিপোর্ট তৈরি হবে। এই রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রী-সহ সবাইকে দেওয়া হবে। রাজনৈতিক নেতা থেকে ক্রিমিনাল সবাই ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমাদের যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে। আইন না-মেনে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন নাগরিক হিসেবে যেতে দেওয়া উচিত। যেখানে 144 ধারা নেই সেখানেও আমাদের যেতে দেওয়া হয়নি। রোহিঙ্গারা কীভাবে ঘুরছে ? আমরা যেতে পারছি না। সংবিধান ভাঙা হচ্ছে।"
রাজভবন সূত্রের খবর, এই বৈঠকের ঘণ্টাখানেকের মধ্যে রাজীব কুমারের থেকে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়। কারণ, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের অভিযোগ, সন্দেশখালি যাওয়ার পথে তাদের লোকাল পুলিশ আটকায়। 144 ধারার যুক্তি দেখানো হয়। তখনই, টিমের পক্ষ থেকে অন্ততপক্ষে শুধু মহিলা সদস্যদের যেতে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু, ভোজেরহাট এলাকায় 2 জন আইপিএস অফিসার তাঁদের আটকান। আটক করে লালবাজারে নিয়ে আসা হয়। তারপর বন্ডে সই করে তাঁদের ছাড়া হয়। 70 কিলোমিটার আগে তাঁদের কেন আটকানো হল। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের
যেতে দেওয়া হচ্ছে কিন্তু যাদের কোনও পলিটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড নেই তাঁদের আটকানোর মানে কী?
আরও পড়ুন: