কলকাতা, 15 অগস্ট: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । হাসপাতালে গিয়ে তিনি প্রথমে কথা বললেন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে । বুধবার রাতে হাসপাতালের যে সমস্ত জায়গায় ভাঙচুর চালানো হয় সেখানেও যান রাজ্যপাল ৷ আন্দোলনরত চিকিৎসক পড়ুয়াদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন তিনি । হাসপাতালে দাঁড়িয়ে দোষীরা শাস্তি পাবে বলে আশ্বাসবাণীও দেন রাজ্যপাল বোস ।
উল্লেখ্য, বুধবার রাতে যখন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচি জারি ছিল, ঠিক সেই সময় আচমকাই আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢুকে পড়ে একদল যুবক যুবতী । তারা প্রত্যেকেই বহিরাগত বলে অভিযোগ সেখানে প্রতিবাদরত ছাত্রছাত্রীদের । রাতেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী । ইতিমধ্যেই রাতে পুলিশকর্মীরা সেখানে গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে । শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুন এবং রাতে তাণ্ডবের ঘটনার পর এই প্রথমবার সেখানে গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ তিনি বললেন, "এই ঘটনা বাংলার জন্য লজ্জা ৷ ভারতের জন্য লজ্জা, মানবকতার জন্য লজ্জা ৷ আমরা মা ও বোনদের রক্ষা করতে ব্যর্থ ৷ যেটা আমাদের সমাজের পক্ষে ভালো নয়, রাজনীতি করতে গিয়ে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে ৷ মানুষকে রক্ষা করার জন্য আইন কানুন, কিন্তু তাও আজ ষড়যন্ত্রের শিকার ৷ রাজ্য সরকার এই ঘটনার জন্য দায়ী ৷ মহিলাদের নিরাপত্তার দরকার রয়েছে ৷ বাংলায় মহিলাদের নিরাপত্তা নেই ৷ আমি আন্দোলনকারীদের বিচার দিতে চাই ৷ তাঁরা আমার কাছে তাঁদের দাবি দাওয়া জানিয়েছে ৷ তাঁদের কথা শোনা দরকার ৷"
জানা গিয়েছে, এ দিন রাজ্যপালের কাছে বেশকিছু দাবিদাওয়া জমা দিয়েছেন আরজি কর হাসপাতালে আন্দোলনরত চিকিৎসক পডুয়ারা ৷ সেগুলির মধ্যে অন্যতম, তাঁদের সহকর্মীকে ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্ত সকলকে 48 ঘণ্টার মধ্যে ধরতে হবে ৷ হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ ও সুপার এবং চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধানকে পদত্যাগ করতে হবে ৷ পড়ুয়াদের আরও দাবি, বুধবার রাতের ভাঙচুরের ঘটনায় নগরপাল বিনীত গোয়েলকে ক্ষমা চাইতে হবে ৷ না-হলে এই কর্মবিরতি জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা ৷