কলকাতা, 12 ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালি নিয়ে ফের নবান্নের কাছে রিপোর্ট চাইল রাজভবন । সূত্রের খবর, রবিবার রাতে রাজভবন থেকে নবান্নের কাছে সন্দেশখালি নিয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে । কেরালা থেকে সন্দেশখালি যাওয়ার সিদ্ধান্তের পর পরই রাজ্যপালের নির্দেশে নবান্নে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে । এই নিয়ে চারবারের বেশি নবান্নের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে । তার ভিত্তিতে কতবার নবান্ন রাজভবনকে রিপোর্ট দিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে ।
রবিবার রাত ন'টা নাগাদ রাজভবন থেকে অফিসিয়ালি জানানো হয় যে, রাজ্যপালের কেরালার কর্মসূচিতে কাটছাঁট করা হয়েছে । ওখানে বেঙ্গল উৎসবে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি । সন্দেশখালির ভয়াবহতার কারণে ওখানে অনুষ্ঠান কাটছাঁট করে ফিরে আসছেন রাজ্যপাল । রাজ্যপাল কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর শীর্ষ আধিকারিক ও কেন্দ্রের চিফ ভিজিল্যান্স কমিশনারের সঙ্গেও এই নিয়ে আলোচনা করেছেন ৷
এই খবর জানানোর পরপরই রাজভবন থেকে নবান্নের রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে বলে সূত্র জানা গিয়েছে । সন্দেশখালি ইস্যুতে রাজভবনের লাগাতার রিপোর্ট তলবে নবান্ন কতটুক সদুত্তর দিয়েছে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে । কারণ, আজ সকালে দমদম বিমানবন্দরে এই বিষয়ে রাজ্যপালকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কোনও উত্তর দেননি ।
গত 5 ফেব্রুয়ারির পর 10 তারিখে ফের রাজভবনের তরফে নবান্নকে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয় । ওইদিন দুপুরে বিধানসভা থেকে বিধায়কদের নিয়ে রাজভবনে যান শুভেন্দু অধিকারী । কিন্তু রাজ্যপাল কলকাতায় না থাকায় তাঁর সঙ্গে দেখা হয়নি বিরোধী দলনেতার । প্রাথমিকভাবে নিজেদের দাবিপত্র রাজ্যপালের ওএসডির হাতে তুলে দিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানান শুভেন্দু অধিকারী । তার ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে রাজভবনের তরফে নবান্নকে কড়া বার্তা দেওয়া হয় । যদিও রাজভবনের তরফে সে বিষয়ে অফিসিয়ালি কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি । এরপরেই রাজ্যপালের সন্দেশখালি যাওয়ার সিন্ধান্তের কথা রবিবার রাতেই জানানো হয় ।
উল্লেখ্য, উত্তর 24 পরগনার সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলা ও পরবর্তী ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি । মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকাকে একাধিকবার চিঠি পাঠানো হয় রাজভবনের তরফে । কিন্তু তারপরও পরিস্থিতির কোনও বদল না হওয়ায় আবারও বার্তা পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের দাবি ।
আরও পড়ুন: