বেলুড়, 28 মার্চ: প্রয়াত বেলুড় মঠ ও মিশনের প্রেসিডেন্ট মহারাজ স্বামী স্মরণানন্দের শেষকৃত্য সম্পন্ন হল ৷ তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ বুধবার সন্ধ্যা ছ'টা নাগাদ রাজ্যপাল বেলুড় মঠে পৌঁছে স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজকে শ্রদ্ধা জানান ৷ মঙ্গলবার রাতে তিনি রামকৃষ্ণলোকে গমন করেন ৷
প্রয়াত প্রেসিডেন্ট মহারাজের প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, "রাজ্য তথা দেশ এক মহান আধ্যাত্মিক গুরুকে হারাল ৷ যাঁর উপর বহু মানুষের আস্থা ও ভরসা ছিল ৷ যিনি ঈশ্বরে বিশ্বাসী ছিলেন, পাশাপাশি তিনি মনুষ্যত্বে বিশ্বাসী ছিলেন ৷ সর্বোপরি তিনি শ্রীরামকৃষ্ণ ও স্বামী বিবেকানন্দের প্রদর্শিত পথের অনুসারী ছিলেন ৷ একজন মহান সন্ন্যাসী যিনি দেশের মানুষকে জীবনে সঠিক পথের দিশা দিয়েছেন ৷ তাঁর শেখানো শিক্ষার মাধ্যমে তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন ৷ তাঁর মৃত্যুতে চিরকালের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি হল ৷ আমরা এই মহান আধ্যাত্মিক গুরুকে হারালাম ৷"
উল্লেখ্য বুধবার রাত্রি 9টার পরে বেলুড় মঠের গঙ্গার তীরেই স্বামী স্মরণানন্দের অন্তিম সংস্কার পর্ব সম্পন্ন হবে, এমনটাই জানানো হয় বেলুড় মঠের পক্ষ থেকে ৷ সেই অনুযায়ী বুধবার রাত 8টা 15 মিনিটে সাংস্কৃতিক ভবন থেকে পুরনো মঠ চত্বরের আমগাছ তলায় প্রেসিডেন্ট মহারাজের নশ্বর দেহ সন্ন্যাসীদের কাঁধে চাপিয়ে নিয়ে আসা হয় ৷ সেখানেই তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানানোর পালা চলে ৷
এরপর স্বামী ব্রহ্মানন্দের মন্দিরের সামনে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ তারপরে স্বামী স্মরণানন্দের নশ্বর দেহ শ্রীমা সারদার মন্দিরের সামনে রাখা হয় ৷ তারপরে মহারাজের নশ্বর দেহ স্নান করিয়ে নতুন বস্ত্র-সহ সন্ন্যাসীর সমস্ত উপকরণ দিয়ে, আরতি করা হয় ৷ তারপরে স্বামী বিবেকানন্দের সমাধিস্থল ঘুরে, প্রেসিডেন্ট মহারাজের বাসস্থানে নিয়ে আসা হয় ৷ কিছুক্ষণ সেখানে রাখার পরে গঙ্গার তীরে শুরু হয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ৷ এর আগে বুধবার সকাল হতেই প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় প্রেসিডেন্ট মহারাজকে শেষ বারের মতো দেখতে বেলুড় মঠে অগুণতি ভক্ত ভিড় জমিয়েছিলেন ৷
আরও পড়ুন: