কলকাতা, 10 ফেব্রুয়ারি: "ননসেন্স গেম চলছে, তা বন্ধ করতে গুন্ডারাজের কফিনে পেরেক পুঁততে হবে ৷" সন্দেশখালি ইস্যুতে শনিবার রাতে এক ভিডিয়ো বার্তায় এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত উত্তপ্ত উত্তর 24 পরগনার সন্দেশখালি ৷ ঘটনায় উত্তাল রাজ্য-রাজনীতিও ৷
গত সোমবারই রাজভবন থেকে মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকাকে চিঠি পাঠানো হয় ৷ তারপরও পরিস্থিতির কোনও বদল না-হওয়ায় ফের বার্তা পাঠানো হয়েছে ৷ তারপরে আবার শনিবার রাতে ভিডিয়ো বার্তা দিলেন রাজ্যপাল বোস ৷ সবমিলিয়ে সন্দেশখালি ইস্যুতে বারবার ক্ষোভ প্রকাশ রাজ্যপালের ৷ সন্দেশখালি নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ করতে যে রাজ্য সরকার টালবাহানা করছে, তা প্রকাশ পেয়েছে রাজ্যপালের বক্তব্যে ৷
শান্তি বজায় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্ব ৷ সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, "রাজ্য সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে ৷ একদিকে বিধানসভায় অধিবেশন চলছে, অন্যদিকে এরকম অরাজকতার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে ৷ সেখানে পুলিশ প্রশাসন সবকিছুই আছে ৷ তারপরেও দুষ্কৃতীরা আইন হাতে নিয়ে নিচ্ছে ৷ রাজ্য সরকারকে অবশ্যই এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ করে রিপোর্ট পেশ করতে হবে ৷ মাফিয়া রাজ, গুন্ডারাজ চলতে দেওয়া যাবে না ৷ সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই গুন্ডারাজ দমন করতে এগিয়ে আসতে হবে ৷"
এদিকে শনিবার রাজভবনের উত্তর দরজার বাইরে 144 ধারার কপি পোড়ানোর পর বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "আজকে সকালে 144 ধারা এবং ইন্টারনেট বন্ধের বিরুদ্ধে জাতীয় মহিলা কমিশন, রাজ্যপাল প্রমুখকে ট্যাগ করেছি ৷ পুলিশ আধিকারিকদের দিয়ে সেখানে তফশিলি জাতি ও উপজাতি মহিলাদের উপর অত্যাচার চলছে ৷ 14 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে আটকে রাখা হয় ৷ সিপিমের কায়দায় সেখানে রাজীব কুমার, মনোজ বার্মাদের দিয়ে অত্যাচার করা হচ্ছে ৷"
শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, "144 ধারার কপি পোড়ালাম ৷ রাজ্যপাল কেরলে আছেন ৷ রাজ্যপাল আজকে (শনিবার) ফিরবেন ৷ কাল সেখানে পৌঁছান। সরকারি ক্ষমতা দিয়ে গণরোষ বন্ধ করতে পারবে না ৷ রাজ্যপালকে 24 ঘণ্টা দিলাম ৷ না করলে সোমবার রাজভবনের সিঁড়িতে বসে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধরনা দেব ৷"
আরও পড়ুন: