কলকাতা, 20 এপ্রিল: নিজে ডেকেও দেখা করলেন না আচার্য। বাধ্য হয়েই রাজভবনের এক আধিকারিকের সঙ্গেই কথা বলে বেরিয়ে যান পাঁচজন। তারপরেই বিষয়টি নিয়ে সরব হন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু থেকে এডুকেশনিস্ট'স ফোরাম। শিক্ষামন্ত্রী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, "জানতে পেরেছি আলোচনার জন্য বেশ কয়েকজন গুণী শিক্ষাবিদকে রাজভবনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। জানা গিয়েছে, আচার্য তাঁর অতিথি অভ্যাগতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি। বদলে এক আধিকারিক ওইসব শিক্ষাবিদদের আচার্যের ক্ষমতা সম্পর্কে কথা শুনিয়েছেন। উনি শুধু অতিথি আপ্যায়নে ভারতীয় রেওয়াজকে কলুষিত করেননি সঙ্গে আমাদের রাজ্যের বিদগ্ধ শিক্ষাবিদদের অপমান করেছে। তিনি এইভাবে বাংলার অগ্রগণ্য শিক্ষাবিদের সঙ্গে ব্যবহার করেন। লজ্জা।"
এরপর বিষয়টি নিয়ে সরব হয় এডুকেশনিস্ট'স ফোরাম। এডুকেশনিস্ট'স ফোরামের তরফে ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেন, "রাজ্যের 31টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের বিষয়ে কথা বলার জন্য আজ আচার্য 8 জন শিক্ষাবিদদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন। তারমধ্যে পাঁচজন উপস্থিত হন। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে দেখাই করেননি আচার্য।" উপরন্তু একজন অফিসিয়াল তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেই জানা যাচ্ছে। তবে সেই অফিসিয়াল আচার্যের কতটা ক্ষমতা সেই বিষয়েই কথা বলেছেন শুধু, বলেই অভিযোগ ওমপ্রকাশ মিশ্রের।
ওমপ্রকাশ মিশ্রের মতে, এই ঘটনার ফলে প্রচণ্ড অপমানিত বোধ করেছেন সেখানে উপস্থিত থাকা পাঁচজন শিক্ষাবিদ । আচার্য উচ্চশিক্ষা এবং রাজ্য সরকারকে হেয়ো করার চেষ্টা করছেন বলেই মনে করছেন তিনি। এর ফলে এডুকেশনিস্ট'স ফোরামের তরফ দাবি জানানো হয়েছে, অবিলম্বে 31টা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হোক। এর সঙ্গে বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলগুলি নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত নিক আচার্য।
প্রসঙ্গত, আজ রাজভবনে 8 জনের মধ্যে উপস্থিত হয়েছিলেন পাঁচজন। সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অনুরাধা মুখোপাধ্যায়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অমিতাভ দত্ত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেনের ইঞ্জিনিয়ারের অধ্যাপক ভাস্কর গুপ্ত, বিদ্যাসাগর ও নেতাজী সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী। প্রায় দেড় ঘণ্টার কাছাকাছি তাঁরা রাজভবনের ভিতরে ছিলেন তাঁরা। তারপর বেরিয়ে যান সকলে ৷
আরও পড়ুন: