কলকাতা, 6 অক্টোবর: পুজোর আলোয় আলোকিত কলকাতা। উৎসবের মধ্যেও শাস্তি বহাল থাকছে গার্ডেনরিচ বহুতল ভেঙে পড়ার কাণ্ডে অভিযুক্ত তিন ইঞ্জিনিয়ারের। আপাতত সাসপেনশন ওঠার কোনও সুযোগ নেই বলেই জানাচ্ছেন কলকাতা কর্পোরেশন এক শীর্ষ কর্তা।
চলতি বছরে মার্চ মাসে গার্ডেনরিচ এক নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে প্রায় 13 জনের মৃত্যু হয়েছিল। তোলপাড় হয়েছিল গোটা কলকাতা। এই ঘটনায় সরগরম হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতিও । শাসক দলের কাউন্সিলর থেকে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে নিশানা করেছিল বিরোধী বাম-কংগ্রেস থেকে বিজেপি নেতারা । এমনকি কর্পোরেশনের ইঞ্জিনিয়ার সংগঠনের তরফেও একই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। তবে শেষমেষ এই ঘটনায় এক এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ও একজন অ্যাসিস্টেন্ট ও আরেকজন সাব অ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করে কর্পোরেশন বিল্ডিং বিভাগ।
কর্পোরেশনের ওই তিন ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে শুরু হয় বিভাগীয় তদন্ত । তবে ততদিনে এই ঘটনার জল গড়িয়ে গিয়েছে আদালতে। এদিকে ইঞ্জিনিয়ার সংগঠন বারে বারে সরব হয় ইঞ্জিনিয়ারদের 'বলির পাঁঠা' করা হচ্ছে বলে। সম্প্রতি সেই ক্ষোভের আগুনে ঘি পড়ে কর্তৃপক্ষের এক সিদ্ধান্তে। সেটা হল, অস্থায়ী বিল্ডিং বিভাগের ডিজিকে স্থায়ী ডিজি পদে উন্নীত করা। এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফেটে পড়ে বাম ইঞ্জিনিয়ার সংগঠন কেএমসি ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড এলাইট সার্ভিস এসোসিয়েশন। তারা গত মাসের মাসিক অধিবেশনের দিনেই এই ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হয়ে গেটে তালা লাগানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
বাম ইঞ্জিনিয়ার সংগঠনের দাবি ছিল, গার্ডেনরিচ কাণ্ডে তিন ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করে রাখা হয়েছে এখনও পর্যন্ত। পুজোতে তারা শাস্তির হাত থেকে মুক্তি পাচ্ছে না, আবার তদন্তও হচ্ছে না। এদিকে একই বিভাগের অস্থায়ী ডিজিকে স্থায়ী পদে আনা হল। এই প্রসঙ্গে কলকাতা কর্পোরেশনের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, পুজোর আবহে বলে নয়, এখন তারা এই সাসপেনশন তুলতে পারবেন না। কারণ, এই ঘটনা আদালতে বিচারাধীন। আদালতের রায়ের দিকে তারা তাকিয়ে আছেন। আদালতের নির্দেশ মতোই পদক্ষেপ করা হবে।