ETV Bharat / state

গঙ্গাসাগরে এই প্রথম, আটকে পড়া পুণ্যার্থীদের খাবার-জল পৌঁছে দেবে ড্রোন - GANGASAGAR MELA 2025

গঙ্গাসাগরের পুণ্যার্থীদের জন্য এবার বিশেষ ব্যবস্থা নিল রাজ্য সরকার ৷ নদীর চরে আটকে পড়া ভক্তদের খাবার, জল ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেবে ড্রোন ৷

GANGASAGAR MELA 2025
গঙ্গাসাগরের পুণ্যার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 6, 2025, 11:17 AM IST

গঙ্গাসাগর, 6 জানুয়ারি: জোর কদমে চলছে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি ৷ এরই মধ্যে মেলায় আগত পুণ্যার্থীদের জন্য এবার বিশেষ পদক্ষেপ করল প্রশাসন ৷ এই প্রথমবার আটকে পড়া পুণ্যার্থীদের খাবার, জল ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেবে ড্রোন ৷ আগামী 10 জানুয়ারি থেকে 17 জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে মেলা ৷ এই সময় ভক্তদের সাহায্যের জন্য তৈরি থাকবে একাধিক ড্রোন ৷

গঙ্গাসাগর মেলায় জোয়ার-ভাটাকে মাথায় রেখে নদী পারাপার দীর্ঘদিনের সমস্যা । ভাটার সময় ভেসেল আটকে গেলে পুণ্যার্থীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হয় । ওই সময়ে জলের মধ্যে আটকে থাকা মানুষদের জল, খাবার ও অন্যান্য জরুরি পরিষেবা পৌঁছে দিতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় প্রশাসনকে । এবার সেই সমস্যার সমাধান খুঁজতে বিশেষ ড্রোনের ব্যবস্থা নিয়েছে গঙ্গাসাগর প্রশাসন ।

পুণ্যার্থীদের খাবার, জল ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেবে ড্রোন (ইটিভি ভারত)

নজরদারি চালানোর জন্য গঙ্গাসাগর মেলায় ড্রোনের ব্যবহার করা হয় । প্রতিবার প্রায় 20টি ড্রোন ব্যবহার করে প্রশাসন । এবার সেই সংখ্যাটি বাড়িয়ে অন্তত 25টি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে । তার মধ্যেই এই বিশেষ ড্রোন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন ৷ এছাড়া, আরও বিভিন্ন কাজে একাধিক ড্রোন ব্যবহার করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার । এমনটাই জানিয়েছেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা ৷

জেলাশাসক বলেন, "এই বছর পুণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য 18 থেকে 20 ঘণ্টা ভেসেল পরিষেবা চালু থাকবে । কুয়াশা থাকার কারণে বিভিন্ন সময় ভেসেল পথ বুঝতে না-পেরে চরে গিয়ে আটকে যায় । সেই সমস্যা সমাধান করতে এ বার ‘অ্যান্টি ফগ লাইট’ এবং ইসরোর অত্যাধুনিক ব্যবস্থা থাকবে । একই সঙ্গে থাকবে বিশেষ ড্রোনের ব্যবস্থা । এই ড্রোনের সাহায্যে অত্যাবশ্যক পণ্য তীর্থযাত্রীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে ।" তিনি আরও জানান, গঙ্গাসাগর মেলার সময় বাবুঘাট থেকে কচুবেড়িয়া পর্যন্ত থাকছে ‘বাফার জোন’ । পুণ্যর্থী এবং দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে থাকছে 21টি জেটি, 9টি অত্যাধুনিক বার্জ এবং 35টি ভেসেল । প্রতিটি বাফার জোনে থাকবে পানীয় জল এবং চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা ।

বিগত বছরগুলিতে গঙ্গাসাগর মেলায় গড়ে 60 থেকে 70 লক্ষ পুণ্যার্থী ভিড় জমিয়েছেন । গত বছর সেই সংখ্যাটা প্রায় এক কোটি ছুঁয়েছিল । এবার একই সঙ্গে রয়েছে উত্তরপ্রদেশের মহাকুম্ভ মেলা । ফলে এবার কত মানুষ গঙ্গাসাগরে আসবেন, তা নিয়ে চর্চা চলছে । তবে নিরাপত্তার কোনও খামতি রাখতে চাইছে না জেলা প্রশাসন । মেলার দিনগুলিতে আরও সজাগ থাকার কথা জানানো হয়েছে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৷

মেলায় নিরাপত্তার জন্য 13 হাজার পুলিশ কর্মী থাকবেন বলে জানা গিয়েছে প্রশাসন সূত্রে । ভারত-বাংলাদেশ সীমানা দিয়ে জঙ্গি, অনুপ্রবেশকারী ও পাচার সংক্রান্ত ইস্যুতে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে । সেজন্য আরও সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে । অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জল-স্থলে সর্বত্রই থাকছে বাড়তি নজরদারি । পুণ্যার্থীদের যাতে কোনও রকম বিপদ না হয়, সেই জন্য সাদা পোশাকের পুলিশ বাহিনীর কড়া নজরদারি চলবে । মোতায়েন থাকছে উপকূলরক্ষী বাহিনী ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল । একইসঙ্গে, চলবে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারিও । মুড়িগঙ্গা নদীবক্ষ ও সমুদ্রে চলবে জোর টহলদারি ৷

পড়ুন: ঘন কুয়াশায় বন্ধ গঙ্গাসাগরের ভেসেল পরিষেবা, ভোগান্তি পুণ্যার্থী ও নিত্যযাত্রীদের

গঙ্গাসাগর, 6 জানুয়ারি: জোর কদমে চলছে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি ৷ এরই মধ্যে মেলায় আগত পুণ্যার্থীদের জন্য এবার বিশেষ পদক্ষেপ করল প্রশাসন ৷ এই প্রথমবার আটকে পড়া পুণ্যার্থীদের খাবার, জল ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেবে ড্রোন ৷ আগামী 10 জানুয়ারি থেকে 17 জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে মেলা ৷ এই সময় ভক্তদের সাহায্যের জন্য তৈরি থাকবে একাধিক ড্রোন ৷

গঙ্গাসাগর মেলায় জোয়ার-ভাটাকে মাথায় রেখে নদী পারাপার দীর্ঘদিনের সমস্যা । ভাটার সময় ভেসেল আটকে গেলে পুণ্যার্থীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হয় । ওই সময়ে জলের মধ্যে আটকে থাকা মানুষদের জল, খাবার ও অন্যান্য জরুরি পরিষেবা পৌঁছে দিতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় প্রশাসনকে । এবার সেই সমস্যার সমাধান খুঁজতে বিশেষ ড্রোনের ব্যবস্থা নিয়েছে গঙ্গাসাগর প্রশাসন ।

পুণ্যার্থীদের খাবার, জল ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেবে ড্রোন (ইটিভি ভারত)

নজরদারি চালানোর জন্য গঙ্গাসাগর মেলায় ড্রোনের ব্যবহার করা হয় । প্রতিবার প্রায় 20টি ড্রোন ব্যবহার করে প্রশাসন । এবার সেই সংখ্যাটি বাড়িয়ে অন্তত 25টি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে । তার মধ্যেই এই বিশেষ ড্রোন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন ৷ এছাড়া, আরও বিভিন্ন কাজে একাধিক ড্রোন ব্যবহার করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার । এমনটাই জানিয়েছেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা ৷

জেলাশাসক বলেন, "এই বছর পুণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য 18 থেকে 20 ঘণ্টা ভেসেল পরিষেবা চালু থাকবে । কুয়াশা থাকার কারণে বিভিন্ন সময় ভেসেল পথ বুঝতে না-পেরে চরে গিয়ে আটকে যায় । সেই সমস্যা সমাধান করতে এ বার ‘অ্যান্টি ফগ লাইট’ এবং ইসরোর অত্যাধুনিক ব্যবস্থা থাকবে । একই সঙ্গে থাকবে বিশেষ ড্রোনের ব্যবস্থা । এই ড্রোনের সাহায্যে অত্যাবশ্যক পণ্য তীর্থযাত্রীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে ।" তিনি আরও জানান, গঙ্গাসাগর মেলার সময় বাবুঘাট থেকে কচুবেড়িয়া পর্যন্ত থাকছে ‘বাফার জোন’ । পুণ্যর্থী এবং দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে থাকছে 21টি জেটি, 9টি অত্যাধুনিক বার্জ এবং 35টি ভেসেল । প্রতিটি বাফার জোনে থাকবে পানীয় জল এবং চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা ।

বিগত বছরগুলিতে গঙ্গাসাগর মেলায় গড়ে 60 থেকে 70 লক্ষ পুণ্যার্থী ভিড় জমিয়েছেন । গত বছর সেই সংখ্যাটা প্রায় এক কোটি ছুঁয়েছিল । এবার একই সঙ্গে রয়েছে উত্তরপ্রদেশের মহাকুম্ভ মেলা । ফলে এবার কত মানুষ গঙ্গাসাগরে আসবেন, তা নিয়ে চর্চা চলছে । তবে নিরাপত্তার কোনও খামতি রাখতে চাইছে না জেলা প্রশাসন । মেলার দিনগুলিতে আরও সজাগ থাকার কথা জানানো হয়েছে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৷

মেলায় নিরাপত্তার জন্য 13 হাজার পুলিশ কর্মী থাকবেন বলে জানা গিয়েছে প্রশাসন সূত্রে । ভারত-বাংলাদেশ সীমানা দিয়ে জঙ্গি, অনুপ্রবেশকারী ও পাচার সংক্রান্ত ইস্যুতে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে । সেজন্য আরও সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে । অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জল-স্থলে সর্বত্রই থাকছে বাড়তি নজরদারি । পুণ্যার্থীদের যাতে কোনও রকম বিপদ না হয়, সেই জন্য সাদা পোশাকের পুলিশ বাহিনীর কড়া নজরদারি চলবে । মোতায়েন থাকছে উপকূলরক্ষী বাহিনী ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল । একইসঙ্গে, চলবে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারিও । মুড়িগঙ্গা নদীবক্ষ ও সমুদ্রে চলবে জোর টহলদারি ৷

পড়ুন: ঘন কুয়াশায় বন্ধ গঙ্গাসাগরের ভেসেল পরিষেবা, ভোগান্তি পুণ্যার্থী ও নিত্যযাত্রীদের
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.