গঙ্গাসাগর, 24 অক্টোবর: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় দানা ৷ খালি করে দেওয়া হয়েছে গঙ্গাসাগরে কপিলমুনির মন্দির চত্বর ৷ পর্যটক ও সাধু-সন্ন্যাসীদের নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে বলা হয়েছে ৷ মন্দিরের দরজা জনসাধারণের জন্য বন্ধ করা হয়েছে ৷ তবে ভিতরে নিয়ম মেনে প্রতিদিন পুজোপাঠ চলছে বলে জানিয়েছেন পূজারি রামানন্দ দাস ৷
তাঁর বিশ্বাস, বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় দানার হাত থেকে সাগরদ্বীপের বাসিন্দাদের রক্ষা করবেন কপিলমুনি ৷ তবে মন্দিরে ভক্তদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পূজারি রামানন্দ দাস ৷ কেবলমাত্র পূজারি-সহ মন্দিরের দু-একজন সেবায়েত রয়েছেন ৷ কপিলমুনি মন্দিরে যে সকল ধর্মশালা রয়েছে ব্লক প্রশাসন ও প্রধান পুরোহিতের নির্দেশে সেখান থেকে পুণ্যার্থীদের বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷
বলা যায়, দানা আছড়ে পড়ার বহু আগে থেকেই কার্যত পুণ্যার্থী শূন্য করে দেওয়া হয়েছে গঙ্গাসাগর চত্বর । তবে ক্রমশ নদী ভাঙনের জেরে সমুদ্র এগিয়ে আসছে ৷ এই নিয়েও চিন্তিত কপিলমুনি মন্দিরের পুরোহিত ৷ তিনি জানান, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কোনও ব্যবস্থা না নিলে অতীতের বেশ কয়েকটি মন্দিরের মতনই এই মন্দিরও সমুদ্রের সমাধি নেবে । তবে তার আগে নিশ্চয় মুখ্যমন্ত্রী কোনও ব্যবস্থা নেবেন ৷ অতীতে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে মন্দির প্রাঙ্গণ জলমগ্ন হয়ে গিয়েছিল, এবারেও সেই ঘটনা ঘটতে পারে । প্রতিবারই বাবা কপিলমুনি বড় বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে সুন্দরবন এবং সাগরদ্বীপকে রক্ষা করে এসেছেন ৷ এই ঘূর্ণিঝড় দানার হাত থেকেও উনিই সাগরদ্বীপকে রক্ষা করবেন ৷