কলকাতা 10 মে: স্টিং অপারেশনের ভুয়ো ভিডিয়ো কাণ্ডে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি নেতা গঙ্গাধর ও জ্যোতির্ময় কয়াল ৷ গত 4 মে সন্দেশখালির একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয় ৷ 9 মে আরেকটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সোশাল মিডিয়ায় ৷ এই ভিডিয়ো নিয়ে গঙ্গাধর কয়ালের অভিযোগ, বিজেপি নেতার ছবি ব্যবহার করে ভুয়ো ভিডিয়ো তৈরি করে সোশাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে ৷
তাঁর আরও অভিযোগ, এমন প্রচুর ভুয়ো ভিডিয়ো ছড়ানো হয়েছে ৷ তার ফলে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকা ৷ সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে ৷ কিন্তু এখন lিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন ৷ তাই গঙ্গাধর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে আবেদন জানিয়েছেন ৷ বিচারপতি জানিয়েছেন, সিবিআই সরাসরি এইভাবে মামলা নিতে পারে না ৷ তাছাড়া সন্দেশখালির সব মামলা এখন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে ৷ তবে আবেদনকারী মামলা দায়ের করতে পারেন ৷ সোমবার এর শুনানি হবে ৷
উল্লেখ্য ওই ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োয় শোনা যাচ্ছে সন্দেশখালির 2 নম্বর ব্লকের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল বলছেন, সেখানে মহিলাদের উপর কোনও নির্যাতনের ঘটনাই ঘটেনি ৷ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশে মহিলারা অর্থের বিনিময়ে মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন ৷ পরে 4 মে দুপুরেই গঙ্গাধর কয়াল সোশাল মিডিয়ায় আরেকটি ভিডিয়ো পোস্ট করে দাবি করেন, ওই ভিডিয়োগুলি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সহযোগিতায় তৈরি ৷ কণ্ঠস্বর তাঁর নয় ৷ এদিনই তিনি অভিযোগ জানিয়ে সিবিআই-কেও চিঠি দেন ৷ স্বভাবত, ভোটের বাজারে এমন ভিডিয়ো শোরগোল ফেলে দিয়েছে ৷ এই ভিডিয়োগুলির সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ৷
এরপরই শাসক দল তৃণমূলে এই ভিডিয়ো নিয়ে বড়স্তরে প্রচার শুরু করে বিজেপির বিরুদ্ধে ৷ ভোটে জিততে বিজেপি আসলে সন্দেশখালিতে চক্রান্ত করেছে বলে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচার শুরু করেন ৷ যদিও গঙ্গাধরের তরফে জানানো হয় এই ভিডিয়ো সম্পূর্ণ মিথ্যা ৷ এই নিয়ে ইতিমধ্যে তিনি সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগও জানিয়েছেন ৷
আরও পড়ুন: