বর্ধমান, 6 এপ্রিল: রাজ্যপালের কার্টুন আঁকা প্ল্যাকার্ড নিয়ে পথে নামল 'ওয়েবকুপা'। সঙ্গে ছিল তৃণমূল ছাত্র সংগঠন ও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ইউনিয়ন। শনিবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট থেকে স্লোগান উঠল, 'রাজ্যপাল গেট আউট'। পাশপাশি রাজ্যপাল নিজেই একজন কার্টুন চরিত্র। আর তাঁর হাতে শিক্ষাব্যবস্থার অবস্থা কার্টুন নেটওয়ার্কের মতো। ছাত্র সংগঠন থেকে শুরু করে কর্মচারী ইউনিয়নের দাবি, রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলিকে 'মিনি সন্দেশখালি' বলে অভিহিত করে অপমান করেছেন। সেই অপমানের জবাব দিতে তারা পথে নেমেছে।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শ্যামাপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'রাজ্যপাল অসাংবিধানিকভাবে শিক্ষাব্যবস্থার উপরে আঘাত হানার চেষ্টা করছেন। তিনি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকেও অপমান করেছেন। প্রতিবাদে আমরা যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত, তারা সকলে একসঙ্গে রাস্তায় নেমেছি। প্রতিবাদে মুখর হয়েছি। রাজ্যপাল নিশ্চয়ই জানেন সংবিধান তাঁকে কতটা ক্ষমতা দিয়েছে। সেই ক্ষমতার বাইরে গিয়ে রাজ্যপাল যেভাবে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে তুঘলকিভাবে পরিচালনা করার চেষ্টা করছে তার প্রতিবাদে আমরা পথে নেমেছি।"
তৃণমূল ছাত্রনেতা স্বরাজ ঘোষ বলেন, 'রাজ্যপাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে তিনি অপমান করেছেন। প্রতিবাদে ওয়েবকুপা, সাধারণ ছাত্রছাত্রী ও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতি একযোগে তার প্রতিবাদে সরব হয়েছে। রাজ্যপাল আদালতের নির্দেশ অমান্য করছেন। সেই কারণে আমরাও স্লোগান তুলেছি রাজ্যপাল গেট আউট। রাজ্যপাল নিজেই একজন কার্টুন চরিত্র। শিক্ষাব্যবস্থাকে তিনি কার্টুন নেটওয়ার্ক বানিয়ে ছেড়েছেন। তাই আমরা তার কার্টুন ছবি বানিয়েছি। প্রতিবাদে আমরা পথে নেমেছি।"
বেশ কয়েকদিন ধরেই রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাতের কেন্দ্রে রয়েছে শিক্ষা। রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে সংঘাত বাধে। শেষমেশ গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্য়ালয় তৃণমূল লোকসভা নির্বাচনের প্রচার করেছে বলে দাবি করেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। তাঁর নিশানায় ছিলেন খোদ রাজ্য়ের শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে তাঁর দলের হয়ে প্রচার করেছেন বলে দাবি করে রাজভবন। পরে ঠিক এই কারণেই ব্রাত্যকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশও করেন রাজ্যপাল। এরপরই নতুন করে রাজ্যপালকে আক্রমণ করতে শুরু করেছে বাংলার শাসক শিবির।
আরও পড়ুন: