জলপাইগুড়ি, 18 মে: পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে ধূপগুড়িতে ৷ মন্দিরে দুষ্কৃতী হানার প্রতিবাদে সংঘর্ষ বাধে আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে ৷ ঘটনায় আহত হয়েছেন 3 পুলিশকর্মী। দু'জন পুলিশ অফিসারের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁদের ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এলাকায় জারি হয়েছে 144 ধারা ৷
মোরঙ্গা এলাকায় জেলা পুলিশ সুপার খান্ডবাহালে উমেশ গণপত আন্দোলনকারী ও স্থানীয় মন্দির কমিটির সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ চলে। এই ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতার করা হবে বলে লিখিত দিতে হয় পুলিশ সুপারকে। সুপার জানিয়েছেন, দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, আন্দোলনকারীদের দাবি, মন্দিরে দুষ্কৃতী হামলায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আন্দোলন চলবে ৷ এদিন ধূপগুড়ির মোরঙ্গা এলাকায় আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর পাথর বৃষ্টির অভিযোগ ওঠে। পাথরের আঘাতে আহত হন ইনস্পেক্টর মনিভূষণ রায়, সাব-ইনস্পেক্টর মিন্টু কুমার মণ্ডল ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর মৃগেঙ্গনাথ রায় ৷
মন্দিরে দুষ্কৃতী হামলার ঘটনায় এদিন সকাল থেকেই উত্তাল ছিল ধূপগুড়ি। দফায় দফায় ধূপগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। আন্দোলনকারীদের ক্ষোভ প্রশমিত করতে গেলে পুলিশকেও রোষের মুখে পড়তে হয়। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পুলিশ অফিসারদের ধূপগুড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে খলাইগ্রাম ষ্টেশনে দুপুর 1টা থেকে 3টে 15 মিনিট পর্যন্ত রেল অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা।
রেল রোকোর ফলে আটকে পড়ে বেশ কয়েকটি ট্রেন। দিল্লিগ্রামী সংকটক্রান্তি এক্সপ্রেস, আলিপুরদুয়ার থেকে শিয়ালদাগামী তিস্তাতোর্ষাএক্সপ্রেস ও একটি মালগাড়ি খলাইগ্রাম ষ্টেশনে আটকে পড়ে। পৌনে তিনটে নাগাদ অবরোধ উঠলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে নতুন করে যাতে অবস্থার অবনতি না হয় বা উত্তেজনা না ছড়ায়, তারজন্য এলাকায় 144 ধারা জারি করেছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন