সন্দেশখালি, 13 মে: বিধায়ক ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাকে মারধর ও হেনস্তার ঘটনায় চার বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করল উত্তর 24 পরগনার সন্দেশখালি থানার পুলিশ । ধৃতদের মধ্যে তিনজনের নাম জানা গেলেও বাকি একজনের নাম জানা সম্ভব হয়নি । এরা হলেন উৎপল মাইতি, সুপ্রকাশ মণ্ডল ও গীতা বর । পুলিশ সূত্রে খবর, রাতভর তল্লাশি অভিযান চালিয়ে সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকা থেকে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়েছে চার বিজেপি কর্মীকে । গ্রেফতারের পর ধৃতদের নিরাপত্তার স্বার্থে সন্দেশখালি থানায় না নিয়ে গিয়ে মিনাখাঁ থানায় ‘সেফ কাস্টডি’তে রাখে পুলিশ ।
জেলিয়াখালি এলাকায় ছিনতাইয়ের অভিযোগে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের বেআইনি ভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে রবিবার সন্দেশখালি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি । নেতৃত্বে ছিলেন বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র । এর ঠিক পরেই বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের একাংশ সন্দেশখালি 2 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ দিলীপ মল্লিকের বাড়িতে চড়াও হন । মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় স্থানীয় তৃণমূল কর্মী তাতান গায়েনকে ।
সেই সময় ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের হাতে বাঁশ, লাঠি, ইট-পাটকেল । সবকিছুই ছিল । উত্তেজিত জনতার হাত রেহাই পাননি বিধায়ক ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিকও । তাঁকেও হেনস্তা ও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ । ঘটনাস্থলেই ছিলেন সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো । তাঁর সামনেই ঘটে সমস্ত ঘটনা । সেই ঘটনার পর রাতে সন্দেশখালি থানায় গিয়ে হামলাকারী বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন দিলীপ মল্লিক ।
পালটা দিলীপ-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে বিজেপির কয়েক জন মহিলা সন্দেশখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন । তাঁদের অভিযোগ, তাঁরা যখন সন্দেশখালি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, সেই সময় তৃণমূলের কিছু কর্মী-সমর্থক বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে কটূক্তি করেন এবং মহিলাদের ধরে টানাহ্যাঁচড়া করেন । তাই কয়েকজন ক্ষিপ্ত হয়ে দিলীপের বাড়িতে চড়াও হয়েছিলেন ।
বিজেপির করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাউকে এখনও গ্রেফতার না করা হলেও তৃণমূলের অভিযোগ পাওয়া মাত্রই পুলিশ তৎপর হয়ে চার বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে । এদিকে, সোমবার মিনাখাঁ গ্রামীণ হাসপাতালে ধৃত চার বিজেপি কর্মীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাঁদের বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হয় পুলিশের তরফে । তবে তাঁদের আদালত পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে না বিচারবিভাগীয় হেফাজতে, তা এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি ৷
আরও পড়ুন: