কলকাতা, 4 ডিসেম্বর: হাতির পালের সঙ্গে সেলফি তুলতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিধানসভায় উষ্মা প্রকাশ করলেন বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা । এদিন প্রশ্নোত্তর পর্বে হাতি নিয়ে উত্তরবঙ্গের বিধায়ক দীপক বর্মনের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় এ প্রসঙ্গে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি ।
সাম্প্রতিক সময়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সেলফি তথা রিলস বানানোর প্রবণতা বেড়েছে । আর বন্যপ্রাণ বা বন্যপ্রাণীদের সামনে পেলে অনেকের মধ্যেই সেই নেশা আরও বাড়ে ৷ যার জন্য বেঘোরে প্রাণ দেওয়ার মতো কঠিন মূল্যও চোকাতে হয় ৷ সাম্প্রতিক অতীতে ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এমনকি এই বাংলাতেও হাতির সঙ্গে সেলফি তুলতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে । এবার তা নিয়েই বিধানসভায় সরব হলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা ।
কয়েকদিন আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়ারিতে হাতির সঙ্গে সেলফি তুলতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতির শিকার হয়েছিলেন এক যুবক । সেই ঘটনার উল্লেখ করে সাধারণ মানুষকে আরও সতর্ক হওয়ার আর্জি জানিয়েছেন মন্ত্রী । সরাসরি তিনি অনুরোধ করেছেন, বন্যপ্রাণীদের স্বাভাবিক গতিপথে কোনওভাবে সাধারণ মানুষের আসা উচিত নয় । তাদের কোনওভাবেই জ্বালাতন করা উচিত নয় । তিনি মনে করছেন, এই অবস্থায় আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের মধ্যেই সচেতনতা দরকার । তবেই এ ধরনের ঘটনা এড়ানো যাবে ।
মন্ত্রীর কথায়, "ক্ষণিকের আবেগের বসে এই ধরনের ভুল করবেন না, যা আপনাদের জীবনহানির কারণ হতে পারে ।" এদিন বিধানসভায় মন্ত্রী এও জানিয়েছেন, সাধারণত হাতির হানায় কেউ আহত হলে তার ক্ষতিপূরণ বনদফতরের তরফ থেকেই দেওয়া হয় এবং চিকিৎসাও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে করানো হয় । এক্ষেত্রে হাতির আক্রমণে আহত ব্যক্তির চিকিৎসা রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে করানো হয় বলে জানিয়েছেন তিনি ।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন শাসক এবং বিরোধীদলের বিধায়ক হাতির হানায় ফসলের ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন । এদিন সেই বিষয়টির জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রী বলেছেন, হাতির হানায় ফসলের ক্ষতি হলে বিঘা প্রতি 200 থেকে 300 টাকা দেওয়া হয় । এই ক্ষতিপূরণ বাড়ানোর বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে বনদফতর । এই বিষয়ে আগামীতে কোনও সিদ্ধান্ত হলে তা বিধানসভাকে জানানো হবে ।