দার্জিলিং, 15 জুলাই: উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে কি রয়েছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের অস্তিত্ব? এর প্রশ্ন খুঁজতেই এবার উত্তরের গুরুত্বপূর্ণ জঙ্গল, অভয়ারণ্যে বসছে 700টি ট্র্যাপ ক্যামেরা। যার জন্য প্রায় কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্যের বন দফতর।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সিকিমের জঙ্গলে ও গত বছরের ডিসেম্বর মাসে নেওরাভ্যালি অভয়ারণ্যে ধরা পড়েছিল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ছবি। আর সেই ছবি ধরা পড়ার পরই উত্তরের জঙ্গলেও রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের অস্তিত্ব থাকতে পারে বলে মনে করছেন বন আধিকারিকরা। তবে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসলে শুধু রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারই নয়, জঙ্গলে অন্যান্য প্রাণীদের যেমন ছবি ধরা পড়ে, তেমনই রোখা যাবে চোরাশিকারও। আর সেই লক্ষ্যেই এবার পাহাড়, তরাই ও ডুয়ার্সের জঙ্গলে বসানো হচ্ছে ট্র্যাপ ক্যামেরা।
এবিষয়ে রাজ্যের মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ, উত্তরবঙ্গ) ভাস্কর জেভি বলেন, "পুজোর আগে এক দফায় ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হবে। ইতিমধ্যে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যে 700টি ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হবে। উত্তরের জঙ্গলে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের অস্তিত্ব রয়েছে কি না, সেটা জানতে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হবে। এছাড়াও ওই ক্যামেরার মাধ্যমে অন্যান্য প্রাণীদের অস্তিত্ব ও চোরাশিকার আটকানো যাবে।" দার্জিলিং ওয়াইল্ড লাইফ ডিভিশনের ডিএফও বিশ্বনাথ প্রতাপ বলেন, "ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানোর কাজ হচ্ছে।"
কার্শিয়াং ফরেস্ট ডিভিশনের ডিএফও দেবেশ পাণ্ডে বলেন, "দু'বছর আগেও মহানন্দা অভয়ারণ্যে বাঘের ছবি ধরা পড়েছিল যা আমাদের জন্য খুব খুশির খবর। এখন তাদের অস্তিত্ব কী রয়েছে, তা জানতেই ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। যদি বাঘ থাকে তবে তাদের সংখ্যাটাও জানা যাবে।" সলিটারি নেচার অ্যান্ড অ্যানিমাল প্রোটেকশনের সম্পাদক কৌস্তভ চৌধুরী বলেন, "হিমালয়ের পাহাড়ি উচ্চতাতে বাঘের ছবি ধরা পড়েছে। গত দু'বছর আগেও উত্তরের জঙ্গলে বাঘের ছবি ধরা পড়েছে। অস্তিত্বের পাশাপাশি বাঘের গতিবিধি, জীবনশৈলী, করিডোর জানতে এই ট্র্যাপ ক্যামেরা প্রয়োজন।"
জানা গিয়েছে, 2023 সালের এপ্রিল মাসে মহানন্দা অভয়ারণ্যে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ছবি ধরা পড়েছিল। ফের 31 ডিসেম্বর বক্সার জঙ্গলে বাঘের ছবি ধরা পড়ে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মহানন্দা অভয়ারণ্যে আগে ছিল 70টি ট্র্যাপ ক্যামেরা। প্রথম দফায় আরও 100টি ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। একইভাবে বৈকুন্ঠপুর জঙ্গলেও বসানো হচ্ছে 80টি ট্র্যাপ ক্যামেরা। পাশাপাশি বক্সাতে 100টি ও জলদাপাড়ায় 80টি ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হচ্ছে।