জলপাইগুড়ি, 1 মে: তিস্তা নদীর চরে বালি খুঁড়তেই চক্ষু চড়কগাছ বনবিভাগের কর্মীদের । বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বালির নীচে পুঁতে রাখা হয়েছে মূল্যবান শাল গাছের গুঁড়ি । জঙ্গল থেকে গাছ কেটে তিস্তা নদীর চরের বালির নীচে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল সেগুলি । বালি খুঁড়ে অসংখ্য শাল গাছের সেই গুড়ি বাজেয়াপ্ত করল বনবিভাগ। সবমিলিয়ে বড়সড় সাফল্য পেল জলপাইগুড়ি বৈকুন্ঠপুর বনবিভাগের বেলাকোবা রেঞ্জ । উদ্ধার শাল গাছের গুড়ির বাজার মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা বলে দাবি করা হয়েছে বনবিভাগের তরফে।
জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এদিন অভিযানে নামে বনদফতর । বৈকুন্ঠপুর বনবিভাগের বেলাকোবা রেঞ্জের বনকর্মীরা জলপাইগুড়ি তিস্তা নদীর নাথুয়া চর এলাকায় অভিযান চালান। নাথুয়া চরে বড় এলাকাজুড়ে বালি জেসিবি দিয়ে খুঁড়ে তার নীচে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বড় বড় শাল গাছের গুঁড়ি। গাছের গুঁড়িগুলো ধাপে ধাপে বিভিন্ন জায়গায় পাচার করা হত ৷ বনবিভাগের তদন্তে এমনই তথ্য উঠে এসেছে ।
উল্লেখ্য, একদিন আগে স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা দীনেশ রায়কে শাল গাছের গুঁড়ি-সহ গ্রেফতার করে বৈকুন্ঠপুর বনবিভাগের বেলাকোবা রেঞ্জ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বালির নীচে কাঠের গুঁড়ি লুকিয়ে রাখার খবর পান বনকর্মীরা । এরপরেই অভিযান চালানো হয় তিস্তার নাথুয়ার চর এলাকায় । মাটি খুঁড়ে প্রচুর শাল গাছের গুঁড়ি উদ্ধার করা হয় । প্রাথমিকভাবে অনুমান জলপাইগুড়ি বৈকুন্ঠপুর জঙ্গল থেকে শাল গাছ কেটে গুঁড়ি পাচার করার চক্রান্ত করা হয়েছিল। সেই পাচার ভেস্তে দিলেন বেলাকোবা রেঞ্জের বনকর্মীরা ।
আরও পড়ুন: