কলকাতা, 7 সেপ্টেম্বর: সরকারি হাসপাতালের বাইরে কলকাতা পুরনিগমের হেল্প ডেস্ক বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা ৷ এই অভিযোগে এবার চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম ৷ উল্লেখ্য, দুর্ঘটনার শিকার যুবক চিকিৎসা না-পেয়ে মৃত্যুর ঘটনার জেরে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি ৷ হেল্প ডেস্ক করতে দেবে না, রোগীও মারা যাবে ৷ এটা ঠিক হচ্ছে না, বলে মন্তব্য করেন ফিরহাদ ৷
কয়েকদিন আগেই কলকাতা পুরনিগমের তরফে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে সামনে হেল্প ডেস্ক খোলা হয়েছিল ৷ সেই হেল্প ডেস্কের কাজ ছিল, রোগী চিকিৎসা না-পেয়ে ফিরলে, তাঁদের যাতে অন্য কোনও হাসপাতালে পাঠানো যায় ৷ তবে, এই ডেস্ক করার জন্য স্বাস্থ্য ভবন লিখিত কোনও নির্দেশ দেয়নি ৷ এমনকি, কলকাতা পুরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা মৌখিকভাবে বলেছিলেন ৷ ফলে চিকিৎসকদের ক্ষোভের মুখে সেই ডেস্ক বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ ৷
এ-প্রসঙ্গে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "আমরা স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে কথা বলেই এই ব্যবস্থা করেছিলাম ৷ যাতে রোগীদের হেনস্তা না-হতে হয় ৷ চিকিৎসকরা বলেছেন, আন্দোলনের সঙ্গে তাঁদের সমর্থন আছে ৷ তাই তাঁরা অনুরোধ করেছেন, আমরা ক্যাম্প সরিয়ে নিয়েছি ৷" এর পরেই গতকাল হুগলি কোন্নগরে দুর্ঘটনা গ্রস্ত যুবকের মৃত্যু ঘটনা টেনে বলেন, "কালকে 4 ঘণ্টা ধরে কোনও চিকিৎসা না-পেয়ে শ্রীরামপুরের ছেলেটি মারা গেল, এটা ঠিক হয়নি ৷ কিয়স্ক করতে দেব না, কিন্তু আবার রোগী মারা যাবে; এটা ঠিক নয় !"
ফিরহাদের বক্তব্য, "আন্দোলন করতে মানা করেনি কেউ ৷ আমরাও চাই যে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ড হোক ৷ যে মারা গেছে, আমার মেয়ের বয়সী অত্যন্ত দুঃখজনক ৷ কিন্তু, তার জন্য আরও দশটা লোক মারা যাবে, এটা ঠিক নয় ৷ এর পরেও আমরা যখন কিয়স্ক করছি, সেটায় অবজেকশন দেওয়া হচ্ছে ৷ অবশ্যই শ্রীরামপুরের থেকে আরজি করে অনেক ভালো পরিকাঠামো ৷ এটা অস্বীকার করা যায় না ৷" এরপর সহায়তা কেন্দ্র নিয়ে দৃঢ়তার সঙ্গে ফিরহাদ দাবি করেন, "কিয়স্ক আমরা এখনও তুলিনি ৷ তবে, আপাতত বন্ধ করে রাখা হয়েছে ৷ এভাবে রোগী যদি মরতে থাকলে, তাহলে আবার কিয়স্ক চালু করতে হবে ৷"