বসিরহাট, 19 অগস্ট: আরজি কর-কাণ্ডে সুবিচারের দাবিতে বসিরহাটে একযোগে পথে নেমেছিলেন ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের সমর্থকরা ৷ আর সেই প্রতিবাদ মিছিল চলাকালীন রাস্তার ধারে একটি সাইকেল থেকে উদ্ধার হল আগ্নেয়াস্ত্র ৷ ঘটনার জেরে রবিবার রাতে চাঞ্চল্য ছড়ায় বসিরহাটের এসএম মজুমদার রোডে ৷ পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করেছে ৷ কিন্তু, মিছিলের মধ্যে কীভাবে আগ্নেয়াস্ত্র এল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ৷
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদের সুর সল্টলেক স্টেডিয়ামে আয়োজিত ডার্বি ম্যাচেও উঠতে পারে ৷ এই আশঙ্কায় রবিবারে ডুরান্ড কাপের সেই ডার্বি বাতিল করে প্রশাসন ৷ যার জেরে বিতর্ক তৈরি হয় ৷ তারই প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে এক অন্য 'ডার্বি' দেখা গেল ৷ যেখানে মাঠের দ্বৈরথ ভুলে, লাল-হলুদ ও সবুজ-মেরুন রংয়ের ভেদাভেদ মুছে, রাস্তায় নেমেছিলেন কলকাতা ফুটবলের দুই প্রধানের সমর্থকরা ৷ কলকাতার রাজপথ স্তব্ধ করে দিয়েছিলেন ইস্ট-মোহন সমর্থকরা ৷ তাঁদের একটাই সুর 'জাস্টি ফর আরজি কর' ৷
সেই প্রতিবাদের আঁচ পড়েছিল বসিরহাটেও ৷ সেখানেও শয়ে শয়ে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সমর্থকরা দুই ক্লাবের পতাকা ও জাতীয় পতাকা নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন সুবিচারের দাবিতে ৷ তাঁদের সেই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হঠাৎই হইচই পড়ে যায় ৷ অভিযোগ উঠেছে, প্রতিবাদ মিছিল চলাকালীন রাস্তার ধারে একটি সাইকেলে রাখা প্যাকেট থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয় ৷
জানা গিয়েছে, মিছিল এগনোর সময়ে রাস্তার ধারে দাঁড় করানো একটি সাইকেল দেখে সন্দেহ হয় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের ৷ এগিয়ে যেতেই তাঁরা লক্ষ্য করেন, সাইকেলের বাস্কেটে রাখা রয়েছে একটি প্যাকেট ৷ সেই প্যাকেট খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের ৷ প্যাকেটের ভিতরে রাখা রয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ৷ পুলিশের তরফে দ্রুত সেটিকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়া হয় ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, প্যাকেটের ভিতর শাক-পাতা দিয়ে ঢাকা ছিল আগ্নেয়াস্ত্রটি ৷
পুলিশ ইতিমধ্যে সাইকেলের মালিকের খোঁজ শুরু করেছে ৷ বসিরহাটের এসএম মজুমদার রোডে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ওই সাইকেল কে বা কারা সেখানে রেখেছিল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ ৷ সেই সঙ্গে মিছিল চলাকালীন কোনও নাশকতা কিংবা হামলার ছক ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷