কলকাতা, 4 মে: সাতসকালে ভয়াবহ আগুন চিনার পার্কের গেঞ্জি কারখানায় ৷ আগুন দেখে স্থানীয়রা দমকল বিভাগে খবর দেয় ৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছেন দমকল বিভাগের কর্মীরা ৷ ঘটনাস্থলে রয়েছে দমকলের চারটি ইঞ্জিন। স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার আচমকা ওই গেঞ্জি কারখানার চারতলায় আচমকায় আগুন দেখতে পাওয়া যায় ৷ মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা বাড়তে থাকে ৷ কীভাবে আগুন লাগল তা এখনও জানা যায়নি ৷
তবে, স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন শর্টসার্কিটের মাধ্যমে আগুন লাগে ৷ এদিন সকালে কারখানা পরিষ্কার করা হচ্ছিল ৷ সেখান থেকেই কোনও কারণে গেঞ্জির কাপড়ে আগুন লেগে যায় ৷ পাশাপাশি ছাদেই ছিল একটি গ্যাস ভরতি সিলিন্ডার ৷ হঠাৎই করে গ্যাস সিলিন্ডার ফাটার বিকট আওয়াজ শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা আঁতকে ওঠেন ৷ স্থানীয় বাসিন্দারা বাগুইহাটি থানা আর দমকলে খবর দেন ৷ দুর্ঘটনাস্থলে প্রথমে দু'টি আগুন নেভানোর জন্য দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছয় ৷ তারপর আরও দু'টি দমকল ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে পৌঁছয় ৷ ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
দমকলের তরফে এই কারখানা বা কোম্পানির কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আগুন নেভানোর সরঞ্জাম ছিল কি না ৷ আগুন নেভানোর সরঞ্জামের পারমিশন নেওয়া হয়েছিল কি? পাশাপাশি বাগুইহাটি থানাও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ৷ বিধাননগর পৌরসভার 5 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কারখানার ভিতরে কেউ আটকে নেই ৷ ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই। যদিও কী কারণে আগুন লেগেছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। এদিকে প্রশ্ন উঠছে, আদৌ ওই কারখানার লাইসেন্স ছিল তো? বসত বাড়িতে কীভাবে এই কারখানা চলছিল? প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, ওই গেঞ্জি কারখানায় দাহ্য পদার্থ মজুত থাকার কারণে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: