টিটাগড়, 27 জানুয়ারি: ভরদুপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড টিটাগড়ে রেলের যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানায় ৷ অগ্নিকাণ্ডের জেরে শনিবার তীব্র আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায় ৷ আতঙ্কিত বাসিন্দারা ভয়ে একসময় বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন ৷ খবর পেয়ে দমকলের চারটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ৷
তবে আগুন নেভাতে গিয়ে এদিন যথেষ্ট বেগ পেতে হয় দমকল বাহিনীকে ৷ কারণ, রেলের ওয়াগন তৈরির ওই কারখানায় প্রচুর কেমিক্যাল এবং দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল ৷ এর ফলেই নিমেষে ভয়াবহ আকার নেয় আগুনের লেলিহান শিখা ৷ তবে, শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী দমকলের প্রায় ঘণ্টা দু'য়েকের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে ৷ অগ্নিকাণ্ডে ঠিক কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার হিসেব এখনও পর্যন্ত মেলেনি ৷ তবে, অনুমান ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক লক্ষ টাকা ৷
টিটাগড় মেন রোডের ধারে টিটাগড় ওয়াগন লিমিটেড নামে এই কারখানায় মূলত রেলের বগি এবং বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রাংশ তৈরি হয় ৷ সূত্রের খবর, ওয়াগন ডিপার্টমেন্টেরই এক কর্মী এদিন গ্যাস কাটার দিয়ে ওয়াগন কাটিংয়ের কাজ করছিলেন ৷ সেই সময় কোনওভাবে আগুনের ফুলকি ছিটকে গিয়ে লাগে মজুত করা কেমিক্যালে ৷ সেখান থেকে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে অনুমান দমকল বাহিনীর ৷ এদিকে, আগুনের কালো ধোঁয়া চারদিকে ঢেকে যাওয়ায় মুহূর্তে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন এলাকাবাসীরা ৷ দমকল বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা দেরিতে ঘটনাস্থলে এসেছে ৷
এই বিষয়ে ওয়াই রাজু রাও নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, "আগুন লাগার প্রায় 40 মিনিট পর ঘটনাস্থলে আসে দমকল বাহিনী ৷ তাঁরা যদি আগে আসত, তাহলে হয়তো আগুনের চেহারা এতটা ভয়াবহ হত না ৷" এই অভিযোগ ঠিক নয় বলে দাবি করেছেন টিটাগড় পৌরসভার 8 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ওমপ্রকাশ সাউ ৷ তাঁর কথায়, "দমকলের আসতে যেটুকু সময় লাগে, সেটুকুই সময় লেগেছে ৷ তাঁদের তো আসতে সময় দিতে হবে !"
আরও পড়ুন: