সন্দেশখালি, 10 মে: স্টিং ভিডিয়ো-কাণ্ডে এ বার বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র ও বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হল সন্দেশখালি থানায় । তাঁদের বিরুদ্ধে স্থানীয় এক মহিলা ষড়যন্ত্র ও নারীর সম্মানহানির অভিযোগ দায়ের করেছেন । এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা দায়ের করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই দু'জন ছাড়াও বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাসের বিরুদ্ধে আগেই মামলা দায়ের হয়েছিল । এ বার তাঁর বিরুদ্ধে ভয় দেখিয়ে মিথ্যা মামলার অতিরিক্ত আরও একটি ধারা যুক্ত করে পুলিশ । ইতিমধ্যে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালের বাড়িতে নোটিশ দিয়ে তাঁকে আগামিকাল সন্দেশখালি থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে । তবে, রেখা পাত্রকে হাজিরা দেওয়া নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও সময় বেঁধে দেওয়া হয়নি বলে খবর পুলিশ সূত্রে ।
এই বিষয়ে বসিরহাটের পুলিশ সুপার মেহেদি হোসেন রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "রেখা পাত্র ও গঙ্গাধর কয়ালের বিরুদ্ধে সন্দেশখালি থানায় ওই মামলা রুজু হয়েছে । ইতিমধ্যে গঙ্গাধর কয়ালকে থানায় হাজিরার নোটিশ দেওয়া হয়েছে । পরে রেখা পাত্রকেও ডাকা হবে ।"
সন্দেশখালি স্টিং ভিডিয়ো-কাণ্ডে বিজেপি প্রার্থী এবং গেরুয়া শিবিরের নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ায় এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে । পুলিশি নোটিশ পেয়ে ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিতর্কিত বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়াল । অন্যদিকে, ভোটের মুখে একের পর এক ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই সরগরম সন্দেশখালি ।
এ প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, "সন্দেশখালির মহিলাদের সম্মান নিয়ে গঙ্গাধর অনেক কিছু বলেছেন । তাতে তিনি বিরোধী দলনেতার (শুভেন্দু অধিকারী) নামও বলেছেন । ওই ভিডিয়ো প্রসঙ্গে গঙ্গাধর কখনও বলছেন, ওটা তাঁর নিজের গলা । আবার কখনও বলছেন তাঁর গলা নয় । প্রযুক্তি ব্যবহার করে বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে । গঙ্গাধর জালে জড়িয়ে গিয়েছেন । এখন সেখান থেকে তিনি বেরোতে চাইছেন । তাই তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ।"
তবে, এ নিয়ে বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র কোনও মন্তব্য করতে চাননি ।
আরও পড়ুন: