বারুইপুর, 22 অগস্ট: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলা ৷ দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে চলছে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আবারও শহরতলি এলাকায় মহিলা চিকিৎসককে হুমকি এবং অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করার অভিযোগ উঠল এক অ্যাম্বুলেন্স চালকের বিরুদ্ধে। এমনই নিন্দনীয় চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ 24 পরগনার বারুইপুর এলাকায়।
ঘটনায় হাসপাতাল সুপার ও স্বাস্থ্য দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা চিকিৎসক। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বারুইপুর থানার পুলিশ। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর ও পুলিশ সূত্রে।
ঘটনাটি কী-
- বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক শবরী সেনগুপ্ত। তাঁর অভিযোগ, আয়ুর্বেদিক ডিপার্টমেন্টের সামনেই অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং করা হয়। এর ফলে চিকিৎসক ও কর্মী এবং রোগীদেরও যাতায়াতের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। বিষয়টি নিয়ে এর আগেও তিনি স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ জানিয়েছিলেন।
- সেই সময়ের দিন পনেরোর জন্য বিষয়টির সমস্যার সমাধান হলেও ফের নতুন করে এই সমস্যা দেখা দেয়। তিনি বাধা দিলে আজ অ্যাম্বুলেন্স চালকরা তাঁকে হুমকি দেন বলে অভিযোগ তোলেন শবরীদেবী। প্রাণের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এইসবের জেরে আতঙ্কিত ওই মহিলা চিকিৎসক। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গেই তিনি হাসপাতালের সুপার ও স্বাস্থ্য দফতরে জানিয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বারুইপুর থানার পুলিশ পৌঁছয়। মহিলা চিকিৎসকের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ।
এবিষয়ে হাসপাতালের সুপার ধীরাজ রায় বলেন, "বারবার অ্যাম্বুলেন্স চালকদের আমরা সতর্ক করেছি কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। আজ যখন মহিলা চিকিৎসক যখন নিজের চেম্বারে বসতে আসে তখনই অ্যাম্বুলেন্স থাকার কারণে অসুবিধার মধ্যে পড়েন তিনি। তিনি তখন অ্যাম্বুলেন্স চালকদের সরে যাওয়ার কথা বলেন। এরপর বেশ কয়েকজন অ্যাম্বুলেন্স চালকরা মহিলা চিকিৎসককে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং হুমকি দেয়। মহিলা চিকিৎসক থানাতেও একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এই ঘটনা একদম বাঞ্ছনীয় নয়।"