ETV Bharat / state

পূর্ণিমার ভরা কোটালে নদী বাঁধ ভেঙে চাষের জমিতে নোনাজল, মাথায় হাত সাগরের কৃষকদের

পানের বরজ ও ধানের জমিতে ঢুকেছে নদীর নোনাজল ৷ মাছের ভেড়ি ও পুকুরগুলিতেও নোনাজল মিশেছে ৷ যার জেরে ব্যাপক ক্ষতির মুখে চাষীরা ৷

AGRICULTURE FIELD DAMAGED
পূর্ণিমার ভরা কোটালে নদী বাঁধ ভেঙে চাষের জমিতে ঢুকল নোনাজল ৷ (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 20, 2024, 4:16 PM IST

গঙ্গাসাগর, 20 অক্টোবর: ব্যাপক ক্ষতির মুখে গঙ্গাসাগর এলাকার চক ফুলডুবির কৃষকরা ৷ নদীর বাঁধ ভেঙে নোনাজল ঢুকেছে চাষের জমিতে ৷ আর তার জেরে পানের বরজ ও চাষের জমির ফসল নষ্ট হয়েছে ৷ লক্ষ্মীপুজোর সময় পূর্ণিমার ভরা কোটালে দুর্বল নদী বাঁধ ভেঙে যায় ৷ এর জেরে নদীর নোনাজল ঢুকেছে একাধিক জমিতে ৷ বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে ৷

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা অভিযোগ করেছেন, আনুমানিক 50-60 বিঘা চাষের জমিতে নোনাজল ঢুকেছে ৷ এমনকি পুকুর ও ভেড়িগুলিতেও নোনাজল মিশে মাছ চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ৷ বিশেষত, সামনেই ফসল কাটার সময় ৷ কিন্তু, তার মাসখানেক আগে ভরা কোটাল ও জোয়ারে নদী বাঁধ ভেঙে প্রচুর শস্য ও সবজি নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কৃষকরা ৷

পূর্ণিমার ভরা কোটালে নদী বাঁধ ভেঙে চাষের জমিতে ঢুকল নোনাজল ৷ (ইটিভি ভারত)

তবে, অভিযোগ উঠেছে, আবারও ভাঙা বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হলেও, তা অস্থায়ীভাবে করা হচ্ছে ৷ যা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে ৷ এ বিষয়ে এক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মণিরুল ইসলাম খান বলেন, "এলাকায় স্থায়ী কংক্রিটের নদী বাঁধ না-থাকার কারণে পূর্ণিমার ভরা কোটাল ও জোয়ারের কারণে নদী বাঁধ ভেঙে গিয়েছে ৷ নদীর নোনাজলে নষ্ট হয়ে গিয়েছে ধানের জমি ৷ অনেক পানের বরজ নষ্ট হয়েছে ৷ নোনাজল ঢুকে মাছ চাষের ক্ষতি হয়েছে ৷"

সাগর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল সামির শাহ জানান, "লক্ষ্মীপুজোয় পূর্ণিমাতে জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে নদীতে ৷ এলাকায় নোনা জল ঢুকেছে । আমরা অসহায় পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি, যদিও আর যাতে গ্রামে নোনাজল না-ঢোকে, সেই জন্য পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাঁধ মেরামতির কাজ চালানো হচ্ছে ৷"

যদিও, এ-বিষয়ে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরাকে নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা অরুণাভ দাস ৷ তিনি বলেন, "বেশ কয়েকদিন আগে নদী বাঁধ পরিদর্শন করতে গিয়ে এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা ৷ সাগরের চক ফুলডুবি এলাকার মানুষও প্রস্তুত রয়েছে মন্ত্রীমশাইকে স্বাগত জানানোর জন্য ৷ মন্ত্রীমশাই নদী বাঁধ মেরামতি করতে ব্যর্থ ৷ এবার যদি মন্ত্রীমশাই চক ফুলডুবি এলাকায় নদী বাঁধ পরিদর্শন করতে যান, তাহলে এলাকার মানুষ অপদার্থ মন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাবে ৷"

আর সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরার বক্তব্য, "পূর্ণিমার ভরা কোটালের জেরে সুন্দরবনের বেশকিছু জায়গায় মাটির নদী বাঁধে ফাটল ধরেছে ৷ কোথাও আবার ভেঙে গিয়ে এলাকায় জল প্রবেশ করেছে ৷ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেগুলি মেরামতির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ৷ স্থায়ী কংক্রিটের নদী বাঁধ নির্মাণের জন্য সেচ দফতরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে ৷ নদী বাঁধ তৈরি করতে কেন্দ্র সাহায্য করে না ৷ সামর্থ্য অনুযায়ী রাজ্য সরকার বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই স্থায়ী কংক্রিটের নদী বাঁধ নির্মাণ করছে ৷"

গঙ্গাসাগর, 20 অক্টোবর: ব্যাপক ক্ষতির মুখে গঙ্গাসাগর এলাকার চক ফুলডুবির কৃষকরা ৷ নদীর বাঁধ ভেঙে নোনাজল ঢুকেছে চাষের জমিতে ৷ আর তার জেরে পানের বরজ ও চাষের জমির ফসল নষ্ট হয়েছে ৷ লক্ষ্মীপুজোর সময় পূর্ণিমার ভরা কোটালে দুর্বল নদী বাঁধ ভেঙে যায় ৷ এর জেরে নদীর নোনাজল ঢুকেছে একাধিক জমিতে ৷ বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে ৷

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা অভিযোগ করেছেন, আনুমানিক 50-60 বিঘা চাষের জমিতে নোনাজল ঢুকেছে ৷ এমনকি পুকুর ও ভেড়িগুলিতেও নোনাজল মিশে মাছ চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ৷ বিশেষত, সামনেই ফসল কাটার সময় ৷ কিন্তু, তার মাসখানেক আগে ভরা কোটাল ও জোয়ারে নদী বাঁধ ভেঙে প্রচুর শস্য ও সবজি নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কৃষকরা ৷

পূর্ণিমার ভরা কোটালে নদী বাঁধ ভেঙে চাষের জমিতে ঢুকল নোনাজল ৷ (ইটিভি ভারত)

তবে, অভিযোগ উঠেছে, আবারও ভাঙা বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হলেও, তা অস্থায়ীভাবে করা হচ্ছে ৷ যা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে ৷ এ বিষয়ে এক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মণিরুল ইসলাম খান বলেন, "এলাকায় স্থায়ী কংক্রিটের নদী বাঁধ না-থাকার কারণে পূর্ণিমার ভরা কোটাল ও জোয়ারের কারণে নদী বাঁধ ভেঙে গিয়েছে ৷ নদীর নোনাজলে নষ্ট হয়ে গিয়েছে ধানের জমি ৷ অনেক পানের বরজ নষ্ট হয়েছে ৷ নোনাজল ঢুকে মাছ চাষের ক্ষতি হয়েছে ৷"

সাগর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল সামির শাহ জানান, "লক্ষ্মীপুজোয় পূর্ণিমাতে জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে নদীতে ৷ এলাকায় নোনা জল ঢুকেছে । আমরা অসহায় পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি, যদিও আর যাতে গ্রামে নোনাজল না-ঢোকে, সেই জন্য পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাঁধ মেরামতির কাজ চালানো হচ্ছে ৷"

যদিও, এ-বিষয়ে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরাকে নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা অরুণাভ দাস ৷ তিনি বলেন, "বেশ কয়েকদিন আগে নদী বাঁধ পরিদর্শন করতে গিয়ে এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা ৷ সাগরের চক ফুলডুবি এলাকার মানুষও প্রস্তুত রয়েছে মন্ত্রীমশাইকে স্বাগত জানানোর জন্য ৷ মন্ত্রীমশাই নদী বাঁধ মেরামতি করতে ব্যর্থ ৷ এবার যদি মন্ত্রীমশাই চক ফুলডুবি এলাকায় নদী বাঁধ পরিদর্শন করতে যান, তাহলে এলাকার মানুষ অপদার্থ মন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাবে ৷"

আর সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরার বক্তব্য, "পূর্ণিমার ভরা কোটালের জেরে সুন্দরবনের বেশকিছু জায়গায় মাটির নদী বাঁধে ফাটল ধরেছে ৷ কোথাও আবার ভেঙে গিয়ে এলাকায় জল প্রবেশ করেছে ৷ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেগুলি মেরামতির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ৷ স্থায়ী কংক্রিটের নদী বাঁধ নির্মাণের জন্য সেচ দফতরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে ৷ নদী বাঁধ তৈরি করতে কেন্দ্র সাহায্য করে না ৷ সামর্থ্য অনুযায়ী রাজ্য সরকার বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই স্থায়ী কংক্রিটের নদী বাঁধ নির্মাণ করছে ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.