ETV Bharat / state

সেনায় তিন প্রজন্ম ক্যাপ্টেন ব্রিজেশের, শহিদের স্মৃতি আঁকড়ে চোখে জল বাবা-মা'র - Darjeeling Army Officer Death - DARJEELING ARMY OFFICER DEATH

Darjeeling Army Officer Killed in Doda Encounter: ছোট থেকেই বাবার মতো সেনা হতে চাইতেন ব্রিজেশ ৷ বাবাই ছিলেন তাঁর আদর্শ ৷ সেনাতেই খুশি ছিল ব্রিজেশ, কান্নাভেজা চোখে ছেলের স্মৃতিতে বাবা-মা ৷ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোকপ্রকাশ করেছেন ৷

Darjeeling Army Officer Death in Doda Encounter
বাঁ-দিক থেকে শহিদ ব্রিজেশের বাবা ও মা (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 16, 2024, 5:42 PM IST

শিলিগুড়ি, 16 জুলাই: "বড় হয়ে আমার মতোই হওয়া স্বপ্ন ছিল ব্রিজেশের। ছোটবেলায় আমার সঙ্গে সেনার গাড়িতে চড়া, ওই জ্যাকেট পরা, শখ ছিল ব্রিজেশের। চেয়েছিল একদম আমার মতো একজন সেনা হতে, দেশের সেবা কর‍তে। একজন ভয়হীন, সাহসী সেনা হওয়ার লক্ষ্যে নিজেকে ছোট থেকেই তৈরি করছিল ব্রিজেশ।" একথা বলতে বলতে ফুঁপিয়ে উঠছিলেন শহিদ ব্রিজেশ থাপার বাবা অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ভুবনেশ থাপা।

শহিদ ব্রিজেশের স্মৃতিই এখন আঁকড়ে ধরে বাবা-মা (ইটিভি ভারত)

উল্লেখ্য, ডোডা জেলার দেশা জঙ্গলে মঙ্গলবার ভোরে সেনাবাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে তীব্র গুলিবিনিময় শহিদ হয়েছেন চার সেনা জওয়ান । তার মধ্যে রয়েছেন দার্জিলিংয়ের লেবংয়ের বাসিন্দা ক্যাপ্টেন ব্রিজেশ থাপা ৷ পাঁচ বছরের কর্মজীবনে বছর সাতাশের ছেলে শহিদ হওয়ার পর থেকে বাবা-মায়ের চোখে জল থামছে না ৷

নিজেও সেনায় কর্মরত থাকার কারণে তিনি সন্তান হারনোর কষ্টটা হয়তো সহ্য করতে পারলেও প্রকাশ করতে পারছেন না। কিন্তু বাবার অন্তরে সব খাঁ-খাঁ করছে তা ওই অবসরপ্রাপ্ত সেনার চোখেমুখে ফুটে উঠছে। খবর পাওয়ার পর থেকেই মা নিলীমা থাপা কেঁদে চলেছেন। ভেজা চোখে মা নিলীমা থাপা বলেন, "মার্চ মাসেই ছুটিতে বাড়ি এসেছিল। আর ওই মাসেই ফের জম্মু-কাশ্মীরে চলে যায়। জুলাইতে আসার কথা ছিল। তার আগেই এই ঘটনা ঘটে গেল।"

ব্রিজেশের দাদুও ছিলেন সেনা কর্মী। বেশ কয়েকদিন ধরে ব্রিজেশের বাবা-মা তাঁকে দেখতেই শিলিগুড়ির শাস্ত্রীনগরের বাড়িতে রয়েছেন। সোমবার রাতে কমান্ড্যান্ট অফিসার ব্রিজেশের শহিদ হওয়ার খবর পেয়ে যেন আকাশ ভেঙে পড়ে থাপা পরিবারে। বাবা ভুবনেশ থাপা ফের বলেন, "সেনার প্রতি আজব একটা টান ছিল ব্রিজেশের। আমি সেনায় যখন কাজ করতাম আমাকে দেখাদেখি নকল করত। আমি সেনার গাড়িতে চড়লে আমার সঙ্গে বসতে ভালোবাসত। বি'টেক পাশ করেই তাই সেনাতে যোগ দেয়।"

মা নিলীমা থাপা বলেন, "ছোট থেকে পড়াশোনোয় খুবই ভালো ছিল ব্রিজেশ। সব সময় খুশি থাকত। সেনায় যোগ দেওয়ার পর আমি বলেছিলাম যে অসুবিধা হলে ফেরত এসে অন্য কাজ করতে। কিন্তু ও আসতে চাইত না।" শহিদ ব্রিজেশকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা। তিনি বলেন, "দার্জিলিংয়ের মাটি আজ গর্বিত। ব্রিজেশের পরিবারকে ভগবান শক্তি দিক।"

  • ডোডায় সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই, শহিদ ক্যাপ্টেন-সহ 4 জওয়ান

শিলিগুড়ি, 16 জুলাই: "বড় হয়ে আমার মতোই হওয়া স্বপ্ন ছিল ব্রিজেশের। ছোটবেলায় আমার সঙ্গে সেনার গাড়িতে চড়া, ওই জ্যাকেট পরা, শখ ছিল ব্রিজেশের। চেয়েছিল একদম আমার মতো একজন সেনা হতে, দেশের সেবা কর‍তে। একজন ভয়হীন, সাহসী সেনা হওয়ার লক্ষ্যে নিজেকে ছোট থেকেই তৈরি করছিল ব্রিজেশ।" একথা বলতে বলতে ফুঁপিয়ে উঠছিলেন শহিদ ব্রিজেশ থাপার বাবা অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ভুবনেশ থাপা।

শহিদ ব্রিজেশের স্মৃতিই এখন আঁকড়ে ধরে বাবা-মা (ইটিভি ভারত)

উল্লেখ্য, ডোডা জেলার দেশা জঙ্গলে মঙ্গলবার ভোরে সেনাবাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে তীব্র গুলিবিনিময় শহিদ হয়েছেন চার সেনা জওয়ান । তার মধ্যে রয়েছেন দার্জিলিংয়ের লেবংয়ের বাসিন্দা ক্যাপ্টেন ব্রিজেশ থাপা ৷ পাঁচ বছরের কর্মজীবনে বছর সাতাশের ছেলে শহিদ হওয়ার পর থেকে বাবা-মায়ের চোখে জল থামছে না ৷

নিজেও সেনায় কর্মরত থাকার কারণে তিনি সন্তান হারনোর কষ্টটা হয়তো সহ্য করতে পারলেও প্রকাশ করতে পারছেন না। কিন্তু বাবার অন্তরে সব খাঁ-খাঁ করছে তা ওই অবসরপ্রাপ্ত সেনার চোখেমুখে ফুটে উঠছে। খবর পাওয়ার পর থেকেই মা নিলীমা থাপা কেঁদে চলেছেন। ভেজা চোখে মা নিলীমা থাপা বলেন, "মার্চ মাসেই ছুটিতে বাড়ি এসেছিল। আর ওই মাসেই ফের জম্মু-কাশ্মীরে চলে যায়। জুলাইতে আসার কথা ছিল। তার আগেই এই ঘটনা ঘটে গেল।"

ব্রিজেশের দাদুও ছিলেন সেনা কর্মী। বেশ কয়েকদিন ধরে ব্রিজেশের বাবা-মা তাঁকে দেখতেই শিলিগুড়ির শাস্ত্রীনগরের বাড়িতে রয়েছেন। সোমবার রাতে কমান্ড্যান্ট অফিসার ব্রিজেশের শহিদ হওয়ার খবর পেয়ে যেন আকাশ ভেঙে পড়ে থাপা পরিবারে। বাবা ভুবনেশ থাপা ফের বলেন, "সেনার প্রতি আজব একটা টান ছিল ব্রিজেশের। আমি সেনায় যখন কাজ করতাম আমাকে দেখাদেখি নকল করত। আমি সেনার গাড়িতে চড়লে আমার সঙ্গে বসতে ভালোবাসত। বি'টেক পাশ করেই তাই সেনাতে যোগ দেয়।"

মা নিলীমা থাপা বলেন, "ছোট থেকে পড়াশোনোয় খুবই ভালো ছিল ব্রিজেশ। সব সময় খুশি থাকত। সেনায় যোগ দেওয়ার পর আমি বলেছিলাম যে অসুবিধা হলে ফেরত এসে অন্য কাজ করতে। কিন্তু ও আসতে চাইত না।" শহিদ ব্রিজেশকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা। তিনি বলেন, "দার্জিলিংয়ের মাটি আজ গর্বিত। ব্রিজেশের পরিবারকে ভগবান শক্তি দিক।"

  • ডোডায় সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই, শহিদ ক্যাপ্টেন-সহ 4 জওয়ান
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.