বাঁকুড়া, 20 ডিসেম্বর: দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছিল তিন শিশুর ৷ সেই পরিবার 'বাংলার বাড়ি' প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা পেল। আর সেই বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে বিষ্ণুপুরের বাঁকাদহ এলাকার বরামারা গ্রামে গিয়ে মৃত শিশুদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করলেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনসূয়া রায়।
প্রসঙ্গত, 2023 সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে বরামারা গ্রামে বৃষ্টির মধ্যে দেওয়াল চাপা পেড়ে তিন থেকে পাঁচ বছর বয়সি তিন শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এরপরই তাদের বাংলার বাড়ি দেওয়ার কথা জানিয়েছিল জেলা প্রশাসন ৷ সেই মতো এদিন তাদের প্রথম কিস্তির টাকা দিল স্থানীয় প্রশাসন ৷
মৃত শিশুদের পরিবারের সদস্য প্রশান্ত সর্দার বলেন, "কেন্দ্রীয় আবাস যোজনায় আমাদের নাম ছিল ৷ কিন্তু বাড়ি না পাওয়ায় কাঁচা বাড়িতেই বসবাস করতাম। বাড়ি পেলে তিন শিশুর অকালমৃত্যু ঘটত না।" এখন রাজ্য সরকারের তরফে বাড়ি তৈরীর প্রথম কিস্তির টাকা তাঁরা পেয়েছেন ৷ পঞ্চায়েতের সভাধিপতি খোঁজ খবর নিয়েছেন বলেও তিনি জানিয়েছেন। বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনসূয়া রায় বলেন, "মৃত তিন শিশুর পরিবারের পাশে আমরা প্রথম দিন থেকেই আছি। এখন বাংলার বাড়ি প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা তাঁরা পেয়েছেন।" সেই বিষয়ে খোঁজ খবর নিতেই এই গ্রামে তিনি এসেছেন বলেও জানিয়েছেন।
আবাস যোজনার টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে না বলে অভিযোগ রাজ্য সরকারের। নিজেদের দাবিকে সামনে রেখে তৃণমূল নেতারা বিজেপিকে বারবার আক্রমণও করেন। গত বছর অক্টোবর মাসে আবাস যোজনার প্রাপ্য টাকা আদায়ের দাবিতে দিল্লি গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁরা এই প্রকল্পে বাড়ি পাননি তাঁদেরও অনেকে গিয়েছিলেন অভিষেকের সঙ্গে। সেখানে ছিলেন এই শিশুর পরিবারের সদস্যরাও। এবার তাঁরাই 'বাংলার বাড়ি' প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা পেলেন।