মেদিনীপুর, 15 জানুয়ারি: পরিবারের অভিযোগ ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন প্রয়োগ ও চিকিৎসায় গাফিলতির কারণে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে ৷ তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, সেপটিক শক থেকে মাল্টিঅর্গান ফেলিওরের কারণে মৃত্যু হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রসূতি মামণি রুইদাসের ৷ যদিও সেই রিপোর্ট হাতে পায়নি বলে জানিয়েছে মৃতার পরিবার ৷ তাদের দাবি, প্রশাসনের তরফে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক ৷ চিকিৎসায় জড়িত ডাক্তার ও বাকি কর্মীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক ৷
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একের পর এক 5 প্রসূতির গুরুতর অসুস্থ ও তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি ৷ ইতিমধ্যেই, গুরুতর অবস্থায় 4 প্রসূতিকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে ৷ এই আবহে মৃত প্রসূতির ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ৷ রিপোর্টে উল্লিখিত মাল্টিঅর্গান ফেলিওর নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ প্রশ্ন, অস্ত্রোপচারে কীভাবে মাল্টিঅর্গান ফেলিওর সম্ভব ? অস্ত্রোপচারে কী দেরি হয়েছিল ? না-হলে সেপটিক শক হয় কীভাবে ? যদিও এই রিপোর্ট নিয়ে এখনও অন্ধকারে মামণির পরিবার ৷
পরিবারের অভিযোগ, "আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থানায় আনতে গিয়েছিলাম ৷ কিন্তু, পুলিশ কর্তারা জানান সিআইডি তদন্ত শুরু হওয়ায় রিপোর্ট হাতে দেওয়া যাবে না ।" সেই সঙ্গে তাদের অভিযোগ, মামণির মৃত্যুর পর তাঁর সদ্যজাতকে ছুটি দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷ তারপর থেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুটি ৷ তাকে পুনরায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ পাশাপাশি তাদের অভিযোগ, জেলা প্রশাসনের তরফে তারা কোনও সাহায্য পাননি ৷ এই আবহে, দোষীদের কঠোর সাজার দাবি জানিয়েছেন তারা ৷
উল্লেখ্য, গত বুধবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মাতৃমাতে পাঁচ প্রসূতির সন্তান প্রসব হয় । তারপরই তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন । অভিযোগ, তাঁদের প্রস্রাব নিঃসরণ হচ্ছিল না ৷ সেই সঙ্গে, রক্ত বন্ধ করা যায়নি । এরপর তাঁদেরকে তড়িঘড়ি আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয় । ঘটনায় চিকিৎসার গাফিলতি ও মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইনের অভিযোগ তোলে রোগীর পরিবার ৷ ঘটনায় শুক্রবার সকালে এক প্রসূতির মৃত্যু ঘটে । এরপরই নড়েচড়ে বসে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর ৷ তড়িঘড়ি 13 জনের একটি টিম পাঠানো হয় কারণ খতিয়ে দেখতে । ইতিমধ্যে, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি-এর দল ৷ মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজ সুপার জয়ন্ত কুমার রাউতকে জেরাও করেন তাঁরা ৷