মালদা, 10 জুন: এক বা দুই নয়, আট বা দশও নয়; একসঙ্গে 250 প্রজাতির আম একই আসরে হাজির করল লখনউয়ের সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট ফর সাবট্রপিক্যাল হর্টিকালচারের মালদা রিসার্চ স্টেশন ৷ বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির আমগুলিকে প্রদর্শনীতে হাজির করানো হয়েছিল সংস্থার তরফে ৷ আমের এই প্রজাতিগুলির সংরক্ষণের জন্য চাষিদের উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের অধিকার নিয়েও সচেতন করা হয় সেখানে ৷ রবিবার এই অনুষ্ঠানের সূচনা করেন প্রোটেকশন অফ প্ল্যান্ট ভ্যারাইটিজ অ্যান্ড ফার্মার্স রাইট অথরিটির চেয়ারম্যান ডঃ ত্রিলোচন মহাপাত্র ৷ ছিলেন সংস্থার মালদা জেলা ও রাজ্য শাখার প্রতিনিধিরা ৷
এই প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছিলেন মালদা, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, নদিয়া ও বাঁকুড়া জেলার আমচাষিরা ৷ তাঁদের উৎপাদিত আমের গুণমান খতিয়ে দেখেন আইসিএআর-এর কর্তারা ৷ ত্রিলোচনবাবু বলেন, "এদেশের ইতিহাসের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে আম ৷ ভারতবর্ষের সংস্কৃতিতে আম এক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা নিয়েছে ৷ এর আগে দেশজুড়ে আমের একাধিক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে ৷ এখানে বিভিন্ন মাপ, রং ও স্বাদের আম প্রদর্শনীতে উপস্থিত করা হয়েছে ৷ এই প্রদর্শনীতে মূলত মালদা ও সংলগ্ন এলাকার আম নিয়ে আসা হয়েছে ৷"
তিনি আরও বলেন, "চাষিদের সঠিক মুনাফা পেতে হলে প্রথমেই তাঁদের আমের প্রজাতি চিনতে হবে ৷ সেই কারণেই সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট ফর সাবট্রপিক্যাল হর্টিকালচারের মালদা রিসার্চ স্টেশন এখানে এত প্রজাতির আম উপস্থিত করেছে ৷ এসব আমের গুণগত মানও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ সেই মান আরও বাড়ানোর চেষ্টা চলছে ৷ আমের গুণগত মান বৃদ্ধি পেলে রফতানির সুযোগও বাড়বে ৷ এছাড়াও আমচাষিরা যাতে সঠিক মুনাফা পান, আমরা তার চেষ্টা করছি ৷ একইসঙ্গে বিভিন্ন প্রজাতির আমগাছ সংরক্ষণ ও চাষিদের অধিকার নিয়ে এখানে একটি সচেতনতামূলক কর্মশালারও আয়োজন হয়েছে ৷"
সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট ফর সাবট্রপিক্যাল হর্টিকালচারের মালদা রিজিওনাল রিসার্চ স্টেশনের ইনচার্জ ডঃ দীপক নায়েক বলেন, "এই প্রদর্শনীতে আমরা বিভিন্ন প্রজাতির আম উপস্থিত করেছি ৷ প্রায় 250 প্রজাতির আম প্রদর্শনীতে রয়েছে ৷ শুধু আমচাষিরাই নন, সাধারণ মানুষও যাতে আমগাছ লাগানোর ব্যাপারে উৎসাহী হন সেই লক্ষ্যেই এই প্রদর্শনী ৷"