আসানসোল, 25 জুন: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'রুদ্ররূপ' সোমবারই দেখা গিয়েছে নবান্নে ৷ অবিলম্বে বিভিন্ন পৌরনিগমকে দখলদার উচ্ছেদ করতে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আর তারপরেই নড়েচড়ে বসেছে আসানসোল পৌরনিগম। একদিকে যেমন দখলদার উচ্ছেদ শুরু হয়েছে, তেমনি তার পাশাপাশি ফুটপাথকেও হকার মুক্ত করে শহরের সৌন্দর্যের কথা ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে আসানসোল পৌরনিগম।
আসানসোল শহরে ফুটপাথ দখলের সমস্যা দীর্ঘদিনের। রাস্তার পাশে হাঁটাচলা করার জায়গা নেই। দখল করে বসে রয়েছে অসাধু হকাররা। হকার মার্কেট করে দেওয়া থেকে শুরু করে আরও নানা বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে আসানসোল পৌরনিগম। কিন্তু, হকার-মুক্ত করা যায়নি ফুটপাথকে। হকার্স মার্কেটে দোকান নেওয়ার পরেও হকাররা ফুটপাথ ছেড়ে চলে যায়নি বলে অভিযোগ। আর তাই এবার কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে আসানসোল পৌরনিগম। ইতিমধ্যেই দখলদার মুক্ত অভিযান শুরু হয়েছে আসানসোলে।
কয়েকদিন ধরে একটি ধরনা মঞ্চ শুরু হয়েছিল আসানসোল চেলিডাঙা এলাকায় জিটি রোডের পাশে। অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে তারা ধরনামঞ্চ শুরু করেছিল। কিন্তু গতকালই দেখা যায় সেই ধরনা মঞ্চকে বাঁশ ও চাটাই দিয়ে নির্মাণের একটি রূপ দেওয়া হচ্ছে। আর এই খবর পেয়েই আসানসোল পৌরনিগম তড়িঘড়ি এসে সেই ধরনামঞ্চ ভেঙে দিলেন। আসানসোল পৌরনিগমের ইঞ্জিনিয়ার আরকে শ্রীবাস্তব বলেন, "মেয়র সাহেবের নির্দেশেই আমরা এই নির্মাণ ভেঙে দিলাম। কোনও রকমের অবৈধ নির্মাণ আমরা সরকারি জমিতে হতে দেব না।"
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, "ফুটপাথ দখলমুক্ত করা আমাদের প্রধান কাজ। এই মুহূর্তে আমাদের হাতে ফান্ড কম। কিন্তু আমরা যা ভাবনা চিন্তা করেছি, কলকাতার মতো করে আমরা ফুটপাথকে সাজাব, যাতে শহরের সৌন্দর্যায়ন হয় এবং মানুষজন হাঁটাচলা করতে পারে ।" তিনি উদাহরণ দিয়ে আরও বলেন, "আসানসোলের হটন রোডের দু'পাশে এত দখলদার হয়েছে, যে সেদিক দিয়ে জেলা হাসপাতাল যাওয়ার রাস্তা, অথচ অ্যাম্বুলেন্স আটকে যায় যানজটে, অবিলম্বে সেই দোকানগুলিকে ভাঙা হবে। পাশাপাশি, যেখানেই দখলদার রয়েছে সেই দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে ৷"